ফের ভক্তদের জন্য বন্ধ হচ্ছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির (jagannath mandir)
ওড়িশা প্রশাসন করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের ওমিক্রনের সংক্রমণ রুখতে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল। ফের একবার ভক্তদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা।
পুরী জগন্নাথ মন্দির আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে তিনদিনের জন্য বন্ধ থাকবে। পুরীর জগন্নাথ মন্দির সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ছত্তিসা নিয়োগ। তারাই এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ থেকে ২ জানুয়ারি ২০২২- এই তিনদিনের জন্য বন্ধ থাকবে জগন্নাথদেবের মন্দিরের দরজা।
এই সংগঠন করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত বিধি বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে। বছরের এই শেষ সময়টা এবং ইংরাজি নববর্ষের শুরুতে পুরীতে প্রচুর পর্যটকের সমাগম হয়। স্বাভাবিকভাবেই ভিড় লেগে থাকে মন্দির চত্বরেও। এছাড়া বহু বিদেশী পর্যটকও এই সময় পুরীর মন্দির দর্শনে আসেন। সে ক্ষত্রে Omicron Variant-এ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলিতে থেকে আগত পর্যটকদের নিয়েও আশঙ্কা থেকে যাবে। বিশাল জনসমাগম ঠেকাতেই এই কড়া সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গ, কোভিড সংক্রমণের ফলে ২৪ এপ্রিল থেকে মহামারীর কারণে বন্ধ রয়েছে জগন্নাথ গর্ভগৃহের দরজা। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ১৬ অগাস্ট থেকে খুলছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দির। তবে মন্দিরে প্রবেশ করতে গেলে বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল RT-PCR নেগেটিভ রিপোর্ট। জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে প্রথমে প্রতি শনি ও রবিবার বন্ধ রাখা হয়েছিল দর্শন। ধাপে ধাপে খুলছিল পুরীর মন্দির। ১৬ অগাস্ট প্রথম দফায় শুধুমাত্র পুরীর বাসিন্দাদেরই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এরপর ২৩ অগাস্ট থেকে সকল দর্শনার্থীদের প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে পাঁচদিন সকাল সাতটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত মন্দিরের দরজা ভক্তদের জন্য খোলা রাখা হয়।
যদিও ভক্তদের ভগবান জগন্নাথের উদ্দেশে ভোগ সমর্পন করার অনুমতি ছিল না। এমনকী বাতি জ্বালানোর উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। মন্দিরের ভেতর কোনও বিগ্রহে হাত দিতে পারবেন না ভক্তরা। কোভিড পরীক্ষার জন্য টেস্টিং ক্যাম্পও তৈরি হয়েছিল মন্দির চত্বরে। এরপর বিধিনিষেধে ধীরে ধীরে শিথিলতা আনা হয়।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊