কী করে মোবাইলের (mobile phone) প্রভাব থেকে রক্ষা  করবেন নিজের সন্তানকে ! 

mobile phone



শিশু ভোলানো ছড়া ভুলে গেছে মা, বাচ্চার হাতে তুলে দিচ্ছে মোবাইলে বাজানো গান বা ভিডিও। ধীরে ধীরে এই মোবাইল শিশুর সঙ্গী হয়ে উঠছে অবসর যাপনের। নিজের হাতেই শেষ করে দিচ্ছেন নাতো আপনার শিশুর ভবিষ্যৎ! কতটা ক্ষতি করছেন নিজের সন্তানের তা কি জানেন?


নিজের সন্তানের দিকে একটু নজর দিলেই বুঝতে পারবেন বিষয়টা। খিট-খিটে স্বভাব, খাওয়ার অরুচি, রাতে অনেক সময় ধরে জেগে থাকা, ধৈর্য্য়শীলতা নষ্ট -এধরনের নানান বৈশিষ্ট্য তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


বিশেষজ্ঞরা বলেন, সন্তানকে স্মার্টফোন দেওয়ার অর্থ হলো, তাদের হাতে এক বোতল মদ কিংবা এক গ্রাম কোকেন তুলে দেওয়া। কারণ, স্মার্টফোনের আসক্তি মাদকাসক্তির মতোই বিপজ্জনক। দুই মিনিট স্থায়ী একটি মোবাইল কল শিশুদের মস্তিষ্কের হাইপার অ্যাক্টিভিটি সৃষ্টি করে, যা কিনা পরবর্তী এক ঘণ্টা পর্যন্ত তাদের মস্তিষ্কে বিরাজ করে। হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায় দ্বিগুণ, ব্যবহারকারীর স্নায়ু দুর্বল হয়ে পড়ে, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, রক্তের চাপ বেড়ে যায়, দেহ ধীরে ধীরে ক্লান্ত ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে এমনকি নিয়মিত ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটায়।

মোবাইলের রেডিয়েশন শিশুদের জন্য আরও বেশি মারাত্মক ক্ষতিকর, যা কিনা তাদের মস্তিষ্কের বিকাশকে ব্যাহত করে। এমনকি ক্যান্সার এর সম্ভাবনাকেও বাড়িয়ে তুলছে এই মোবাইল। 


সারা পৃথিবীতেই এখন শিশুরা প্রায় বেশির ভাগ সময়েই মোবাইল ফোন নিয়ে খেলা করে। মাঠ ভুলে মোবাইলের প্রতি এই আসক্তির জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বলতে শোনা যায় শিশুটি খুব জেদি কিংবা কোন কথা শুনতে চায়না ইত্যাদি ইত্যাদি। আসলে দোষটা কিন্তু সন্তানের নয়। এক্ষেত্রে অভিভাবককে সচেতন হতে হবে। মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখতে হবে সন্তানকে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো কীভাবে ? 

  • সবার প্রথম কাউন্সিলিং। মোবাইল ফোনের ক্ষতিকারক দিক গুলি সম্পর্কে সন্তানকে বোঝানো। 

  • সন্তানের অবসর সময়ে মোবাইল ফোন নয়, নিজে সময় দিন। মোবাইল দূরে রেখে কথা  বলুন, সঙ্গ দিন নিজের সন্তানকে। 

  • বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। বই  পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে এর থেকে ভালো আর কিছহু নেই। 

  • একা থাকতে না দিয়ে বন্ধুদের সাথে মিশতে দিন, খেলতে দিন। এককথায় সন্তানের পছন্দের কাজে তাকে ব্যস্ত রাখুন।