‘বীরসা মুন্ডা’ (Birsa Munda) যিনি ‘ধর্তী আবা’ (বিশ্ব পিতা) অথবা ‘বীরসা ভগবান’ নামে ‘মুন্ডা’ সম্প্রদায়ের কাছে চির পূজনীয়, তিনি ১৮৭৫ খ্রীস্টাব্দের ১৫ই নভেম্বর ভারতের তৎকালীন জেলা ‘রাঁচী’র উলিহাটু গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। আর দশজন ‘মুন্ডা’ বালকের মত ‘বীরসা মুন্ডা’র ও শৈশব কাটে ভেড়ার পালে কিংবা ধুলোয় খেলাধুলা করে।
অভাবের তাড়নায় ‘বীরসা মুন্ডা’র লেখাপড়া করা হয়ে উঠছিলনা তবে বাঁশি বাজানোর পারদর্শিতার কারণে তিনি দীর্ঘদিন গ্রাম্য নাট্যদল ‘আখড়া’তে সময় কাটান। পরবর্তীতে ‘বীরসা মুন্ডা’কে তার মামার বাড়ি আয়ুভাতু’তে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয় যেখানে তিনি ‘সালগা’তে জয়পাল নাগ নামক জনৈক ব্যাক্তি কর্তৃক পরিচালিত স্কুলে ভর্তি হন।
‘আমার অরণ্য মাকে কেউ যদি কেড়ে নিতে চায়, আমার সংস্কৃতিকে উপেক্ষা করে কেউ যদি অন্য সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়, আমার ধর্মকে কেউ যদি খারাপ বা অসভ্য ধর্ম বলে, আমাকে কেউ যদি শুধু শোষণ করে নিতে চায় তবে আমি বিদ্রোহ করবই।’ ১৮৯৫-১৯০০ সালের মুন্ডা বিদ্রোহের নায়ক বিরসা মুন্ডার এমন চিন্তাচেতনা থেকেই সে সময় উলগুলানের জন্ম হয়। উলগুলান আদিবাসীদের দেখিয়েছিল জমিদার, মিশনারি, ইংরেজ শাসকদের হাত থেকে মুক্তির স্বপ্ন।
আজ বীরসা মুন্ডার জন্মদিবস। রাজ্য সরকার আজ সরকারী ছুটি ঘোষণা করেছে। যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে বীরসা মুন্ডার জন্মদিন। বিরসা মুন্ডাকে তাঁর জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
भगवान बिरसा मुंडा जी को उनकी जयंती पर आदरपूर्ण श्रद्धांजलि। वे स्वतंत्रता आंदोलन को तेज धार देने के साथ-साथ आदिवासी समाज के हितों की रक्षा के लिए सदैव संघर्षरत रहे। देश के लिए उनका योगदान हमेशा स्मरणीय रहेगा।
— Narendra Modi (@narendramodi) November 15, 2021
তথ্যসূত্রঃ মানিক সরেন- সামহোয়ার ব্লগ
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊