জাতীয় দুগ্ধ দিবস (National Dairy Day) কেন পালিত হয় জানেন কি?

National Dairy Day



শাস্ত্রে দুধকে (Milk) বলা হয়েছে পৃথিবীর অমৃত। আর পুষ্টি বিজ্ঞানে দুধকে (Milk) বলা হয় সুষম পাণীয় (Balanced drink)। দুধ রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে দিয়ে শরীরকে রোগমুক্ত রাখে। মূল কথা, মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য দুধের ভূমিকা অপরিসীম। সর্বোচ্চ পুষ্টিমানের জন্যই দুধ সব খাদ্যের সেরা।



খাদ্যের প্রধান ছয়টি উপাদানই একসঙ্গে পাওয়া যায় এই দুধে। প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম বেশি পাওয়া যায়। যা হাড়ের জন্য ও শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য খুবই প্রয়োজন। হাড়ের গঠন মজবুত করতেও দুধের ভূমিকা অনবদ্য।



Verghese Kurien


২৬ নভেম্বর পালিত হয় জাতীয় দুগ্ধ দিবস। কিন্তু এই দিনেই কেন? আসলে ২৬ নভেম্বর এমন এক ব্যক্তির জন্মদিন যাকে ইন্ডিয়ান হোয়াইট রেভলিউশনের জনক (Father of the White Revolution) বলা হয়। তিনি হলেন ডঃ ভার্গেস কুরিয়ান (Verghese Kurien)। ২৬ নভেম্বর ১৯২১ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।




জাতীয় দুগ্ধ দিবস ভারতীয় দুগ্ধ সমিতি কর্তৃক পেশকৃত একটি বিশেষ দিন। ২০১৪ সাল থেকে সমগ্র ভারতে এই দিনটি উদযাপিত হয়। বিভিন্ন দুগ্ধ সংগঠন এই দিনটিতে সারাদেশে প্রকাশ্য অনুষ্ঠান এবং ভার্গেস কুরিয়ানের স্মরণ অনুষ্ঠান পালন করে।




জাতীয় দুগ্ধ দিবস উদযাপনের ধারণাটি বিশ্ব দুগ্ধ দিবসের সূচনা হিসাবে এসেছে, যা ২০০১ সাল থেকে পালিত হচ্ছে। দুগ্ধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবারগুলি (Dairy and dairy foods) আমাদের স্বাস্থ্যকর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উৎস। এই দিনটি উদযাপন করে মানুষের মধ্যে সুষম খাদ্য হিসাবে দুধের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো হয়।