Chhath Puja 2023: ছট পূজার উপবাস শুরুর আগে কেন গুড়ের ক্ষীর এবং রুটি খাওয়া হয় জানেন কি?
ছট উৎসব শুরু হওয়ার সাথে সাথে মূলত বিহার, ঝাড়খন্ড এবং পূর্ব উত্তর প্রদেশের অনেক অংশে আনন্দের ঢেউ আছড়ে পড়ে। তবে শুধু এই তিন রাজ্যেই নয় সমগ্র দেশেই ছট উৎসবের আয়োজন করা হয়। আমাদের রাজ্যেও ছট পূজা মহাধূমধামে করা হয়। এককথায় ভারতবর্ষের হিন্দিভাষী হিন্দুদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পূজা ছট্ পূজা।
ইতিমধ্যে কলসিযাত্রার মাধ্যমে শুরু হয়ে গেছে ছট পূজার আয়োজন। ছট পূজার দ্বিতীয় দিনে সারাদিন উপোস থাকবেন এবং সন্ধ্যায় গুড়ের তৈরি খির ও রুটি খাবেন ভক্তরা। কিন্তু কেন শুধু গুড়ের খির এবং রুটি খাওয়া হয় তা জানেন কি?
গুড়ের খির ও রুটি খাওয়ার পেছনে কারণ কী?
খরনার দিন, ভক্তরা সারা দিন নির্জল উপবাস পালন করে এবং সন্ধ্যায় গুড়ের খীর এবং রোটি প্রসাদ প্রদান করে। এরপর একই ক্ষীর ও রুটি খেয়ে পরবর্তী ৩৬ ঘণ্টা নির্জলা উপোস থাকেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে গুড়ের খির ও রুটি খাওয়ার রেওয়াজ কেন রাখা হয়েছে? এ নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, শীতের দিনে এই উৎসব পালিত হয়। তবে শীতকালে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আগের চেয়ে দুর্বল হয়ে যায়, যার কারণে শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে গুড় দিয়ে তৈরি খির এবং রোটি শরীরকে উষ্ণ এবং রোগ প্রতিরোধী করে তোলে।
গুড় থেকে তৈরি খির ও রুটি খেলে শরীরে তাপ আসে। আসলে গুড়ের স্বাদ গরম। এমতাবস্থায় উপবাস শুরু করার আগে যখন গুড়ের তৈরি খির খাওয়া হয়, তখন শরীর গরম থাকে। যা ছট ব্রতের সময় অর্ঘ্য দেওয়ার শক্তি দেয়। আসলে অর্ঘ্য দিতে হলে ছট উৎসবে জলে দাঁড়াতে হয়। এ অবস্থায় শরীরে তাপ বেশি প্রয়োজন। তাই গুড়ের খির খুবই উপকারী। এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য শরীরে তাপ ধরে রাখে।
সন্ধ্যায় গুড়ের খির ও রুটি খেলে শরীরে প্রচুর পরিমাণে শর্করা ও আয়রন পাওয়া যায়। যা উপবাসী ভক্তকে কম ক্ষুধার্ত করে তোলে।
গুড়ের খির ও রুটি খেলেও উপবাস কালে দুর্বলতা তৈরি হয় না। আসলে, এই দুটি জিনিসই শরীরকে প্রচুর শক্তি সরবরাহ করতে পারে।
2 মন্তব্যসমূহ
Happy chhath puja
উত্তরমুছুনNice ..
উত্তরমুছুনThank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊