National Dairy Day-আজ জাতীয় দুগ্ধ দিবস, জেনে নিন দুধ খাওয়ার উপকারিতা-Benefits of drinking milk

Benefits of drinking milk




পুষ্টি বিজ্ঞানে দুধকে (Milk) বলা হয় সুষম পাণীয় (Balanced drink)। দুধ রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে দিয়ে শরীরকে রোগমুক্ত রাখে। মূল কথা, মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য দুধের ভূমিকা অপরিসীম। সর্বোচ্চ পুষ্টিমানের জন্যই দুধ সব খাদ্যের সেরা।



খাদ্যের প্রধান ছয়টি উপাদানই একসঙ্গে পাওয়া যায় এই দুধে। প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম বেশি পাওয়া যায়। যা হাড়ের জন্য ও শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য খুবই প্রয়োজন। হাড়ের গঠন মজবুত করতেও দুধের ভূমিকা অনবদ্য।


দুধে থাকা পুষ্টির তথ্য (Nutritional information in milk)


দুগ্ধ এবং দুগ্ধজাত যে কোন খাদ্য পুষ্টিতে থাকে পরিপূর্ণ। দুধে থাকে ক্যালসিয়াম, আয়োডিন, ফসফরাস এবং ভিটামিন বি ২, বি ১২ রয়েছে, যা বাচ্চাদের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়।


সিরোটোনিন হিসাবে দুধে থাকা ট্রিপটোফান শরীরে শক্তি সরবরাহ করে। দুধে ৪.৮ গ্রাম স্টার্চ, ৩.৯ গ্রাম ফ্যাট এবং ৩.২ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে।


এটিতে ১২০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম এবং ১৪ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল রয়েছে। ১০০ মিলি গরুর দুধে ৬৬ ক্যালোরি রয়েছে। ১০০ মিলি গরুর দুধে ৮৭.৮ গ্রাম জল থাকে।




দুধ খাওয়ার উপকারিতা (Benefits of drinking milk)


দুগ্ধ এবং দুগ্ধজাত পণ্যগুলি কখনই আমাদের জীবন থেকে বাদ দেওয়া উচিত নয়। দুধে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় এবং দাঁতের জন্য ভাল।


চোখও ভালো রাখতেও দুধের কার্যকারিতে অনেক। এছাড়া দুধে রয়েছে পটাসিয়াম, যা রক্তচাপকে বাড়তে দেয় না।


একজন বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫০ মিলি দুধ পান করা উচিত। শুতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল, এতে ঘুম ভালো হয়।


প্রত্যহ দুধ পান করলে তা আপনার স্মৃতিশক্তি প্রখর রাখতে সহায়তা করবে। তাই আজ থেকেই দুধকে আপনার জীবনযাত্রার একটি অংশ করুন, প্রত্যহ দুধ পান করুন, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে উঠুন।


দুধের অপরিহার্য উপাদান ল্যাকটোজ, যা দৈহিক গঠন, বিকাশ ও মেধা বৃদ্ধিতেও সহায়ক। গরুর দুধে আছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, খনিজ পদার্থ যেমন ক্রোমিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, কোবাল্ট, কপার, জিংক, আয়োডিন ও সেলিনিয়াম। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ক্যানসার ও হৃদরোগ প্রতিরোধে দুধের শক্তিশালী ভূমিকা রয়েছে।


এক কথায় গরুর দুধ সব পুষ্টির আধার ও শক্তির উৎস।