বাংলা সবসময় মিথ্যা প্রচার ও ঘৃণার রাজনীতির বদলে উন্নয়ন ও ঐক্যকে বেছে নেবে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়








আজ উপনির্বাচনে জয়জয়কার তৃণমূলের। চার আসনের মধ্যে চারটেতেই জয় লাভ করেছে তৃনমূল। আর এই জয়ের পর জয়ী প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানালেন তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


গোসাবার প্রার্থী সুব্রত মণ্ডল প্রায় দেড় লক্ষ ভোটে জিতলেন। দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ ১ লক্ষ ৬৩ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী। রাজ্যের বাকি দুই কেন্দ্র খড়দা এবং শান্তিপুরেও জয়ী তৃণমূল প্রার্থীরা।



এদিন টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘চারজন জয়ী প্রার্থীকেই আমার আন্তরিক অভিনন্দন। এই জয় মানুষের জয়। এটা দেখিয়ে দিল, বাংলা সবসময় মিথ্যা প্রচার ও ঘৃণার রাজনীতির বদলে উন্নয়ন ও ঐক্যকে বেছে নেবে। মানুষের আশীর্বাদে আমরা বাংলাকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’



বিপুল ভোটে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা দখলে রাখল রাজ্যের শাসক দল। এদিকে বিধানসভায় দিনহাটা ও শান্তিপুর ছিল বিজেপির দখলে। উপনির্বাচনে সেই দুই আসনও দখল করে নিল তৃনমূল।




দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দা ও গোসাবা এই চার কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হওয়ায় বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা বেড়ে হল ২১৭। অন্যদিকে, একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপি ৭৭টি আসনে জয়ী হয়। কিন্তু, ভোটের ফল প্রকাশের পর, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। ফলে বিজেপির বিধায়ক পদ কমে দাঁড়ায় ৭৫। এরপর তৃণমূলে যোগ দেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় ও রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। দলত্যাগকে অঙ্কের হিসাবে ফেললে বলা যায়, বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা এখন ৭০। যদিও দলত্যাগী সকলেই এখনও বিজেপির বিধায়ক।