সন্ধান মিললো জিকা ভাইরাসের (Zika Virus Disease), উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের
উত্তর প্রদেশের কানপুরে ২২শে অক্টোবর ৫৭ বছর বয়সী জিকা ভাইরাসে (Zika Virus Disease) আক্রান্ত এক রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক একটি উচ্চ পর্যায়ের বহুবিষয়ক দল সেখানে পাঠিয়েছে।
সাধারণত সংক্রামিত এডিস এজেপ্টাই মশার কামড় থেকে জিকা ভাইরাসের (Zika Virus) সংক্রমণ ঘটে। ক্রান্তীয় অঞ্চলগুলিতে যেখানে মশার প্রকোপ খুব বেশি, সেখানে এই ধরনের সংক্রমণ বেশি হয়। সংক্রামিত এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে মানুষের শরীরে জিকা ভাইরাস প্রবেশ করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে আমেরিকার কয়েকটি অঞ্চল থেকে এই ভাইরাসের (Zika Virus) উপস্থিতি সম্পর্কে খবর পাওয়া গিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী, জিকা ভাইরাসের (Zika Virus) প্রকোপ আফ্রিকা, আমেরিকা, এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দেখা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জিকা ভাইরাস সংক্রমণকে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা হিসাবে ঘোষণা করেছে।
উত্তর প্রদেশের কানপুরে জিকা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়ার পরই গঠিত হয়েছে একটি কমিটি। এই কমিটিতে জাতীয় পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রক কর্মসূচীর একজন কীট পতঙ্গ বিষয়ক বিজ্ঞানী, জাতীয় ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, নতুনদিল্লির ডাঃ আরএমএল হাসপাতালের একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। দলের সদস্যরা জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনের কাজ করতে রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগকে সহায়তা করবেন বলে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জিকা রোগ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে কার্যকর করা হবে কিনা দলের সদস্যরা সেই বিষয়টি বিবেচনা করবেন। এ ছাড়াও তাঁরা উত্তর প্রদেশে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করতে কি কি করণীয় , তা নিয়ে নানা সুপারিশ করবেন।
0 মন্তব্যসমূহ
thanks