'এটা আমার মা' তে সংকলিত ১০৮টি অনন্য গল্প পড়তে চাইলে এখনি Download করুন

'এটা আমার মা' তে সংকলিত ১০৮টি অনন্য গল্প পড়তে চাইলে এখনি Download করুন 

ITC Aashirvaad Atta’s ‘Eta Amaar Ma’


১৫০০০-রও বেশি অংশ নেওয়া মানুষের গল্প থেকে বাছাই করা হয়েছে ১০৮টি ছোট গল্প যা মা দুর্গার ১০৮টি নামেরই প্রতিরূপ এবং তা ঠাঁই পেয়েছে শহরের চিত্রকরদের হাতে তৈরি ব্র্যান্ডের কফি টেবিল বই - 'এটা আমার মা' তে

কলকাতা, 18 অক্টোবর 2021: এই দুর্গাপুজোয় প্রত্যেক মায়ের 'অনেক রূপ - অনেক শক্তি' উদযাপন করার জন্য ভারতের ১ নম্বর প্যাকেজড আটার ব্র্যান্ড আশীর্বাদ আটা আয়োজন করেছিল তাদের পুজো ক্যাম্পেইন 'এটা আমার মা'। আশীর্বাদের এই উদ্যোগটি নেওয়ার নেপথ্যে মূল লক্ষ্য ছিল কলকাতার মানুষদের একটি মঞ্চ প্রদান, যার মাধ্যমে তাঁরা প্রতি ঘরে ঘরে মায়েদের অনন্ত রূপকে অন্তর থেকে শ্রদ্ধা জানাতে পারেন। খুব অল্প সময়েই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১৫০০০-রও বেশি অনন্য গল্প পেয়েছি আমরা। এর মধ্যে থেকে বেশ কিছু মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্প ঠাঁই পাবে একটি কফি টেবিল বুক-এ, যার নাম এটা আমার মা। বাগবাজার মণ্ডপে অভিনেতা বাসবদত্তা চ্যাটার্জির হাতে এই বইটি প্রকাশ হয়েছিল। শহরজুড়ে ৫০০-রও বেশি রেস্তরাঁও মিলবে এর ফিজিক্যাল কপি। ডিজিটাল ভার্সন ডাউনলোড করা যাবে aashirvaadatta.com/durgapuja লিঙ্কে ক্লিক করে।


ITC Aashirvaad Atta’s ‘Eta Amaar Ma’


এই কফি টেবিল বইটিতে রয়েছে ১০৮টি অসামান্য গল্প। যা মা দুর্গার ১০৮টি নাম বা অবতারেরই প্রতিরূপ। কলকাতার আর্ট কলেজের শিক্ষার্থীদের হাতে ফুটে উঠেছে এই বইয়ের প্রচ্ছদ থেকে গোটা চেহারা। বইয়ে ঠাঁই পাওয়া গল্পগুলির মধ্যে রয়েছে মায়ের প্রতি ভালবাসা, শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা, ভয়, ইত্যাদির মতো অসংখ্য আবেগ এবং এই উৎসবের ছোঁয়ায়, মায়ের পুজোর উদযাপনের মধ্যে দিয়ে যা আমাদের প্রত্যেকের ঘরে যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে বইটিতে যুক্ত হয়েছে কলকাতার ৯ জন প্রখ্যাত তারকাদের লেখা গল্পও। এঁদের মধ্যে রয়েছেন লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, গায়ক রূপঙ্কর বাগচী, কবি শ্রীজাত, অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সুদীপা চক্রবর্তী, তৃণা সাহা, সোহিনী সরকার, কনিনিকা ব্যানার্জী এবং রাহুল।



বইটির প্রত্যেকটি পাঠকই নান্দনিকতায় ভরা মা দুর্গার ইলাস্ট্রেশন এবং বইয়ের ভিতরে থাকা সামগ্রিক বিষয়বস্তুর ভূয়ষী প্রশংসা করেছেন।



ক্যাম্পেইনটির অন-গ্রাউন্ড প্রচারের জন্য, আশীর্বাদ হাত মিলিয়েছিল কলকাতার অন্যতম পুরনো দুর্গাপুজো মণ্ডপ বাগবাজার সর্বজনীনের সঙ্গে। মণ্ডপের পাশে তৈরি করা আশীর্বাদ জোনটিই ছিল বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মূল কেন্দ্র। যেখানে এসে মণ্ডপে আগত দর্শনার্থীরা সুন্দরভাবে ইলাস্ট্রেটেড পোস্টকার্ডের মধ্যে লেখনীর মাধ্যমে মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন, মা দুর্গার লাইফ সাইজের কাট-আউটের সঙ্গে ছবি তুলছেন এবং ধুনুচি নাচে অংশ নিয়েছেন। একই সঙ্গে অতিমারির প্রকোপের মধ্যে পুজো উদযাপনে যাতে কোনও রকম খামতি না থাকে, তা নিশ্চিত করতেই গত বছরের মতো, এই বছরেও বিধান আনন্দ আশ্রম এবং শান্তি নিলয় ওয়েলফেয়ার সোসাইটি — এই দু'টি বৃদ্ধাশ্রমের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল আশীর্বাদ।



এই উদ্যোগের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে গণেশ সুন্দরমন, আইটিসি ফুড ডিভিশনের এসবিইউ চিফ এক্সিকিউটিভ - স্ট্যাপেলস, স্ন্যাকস এবং মিলস জানান, “দুর্গাপুজোর মতো উৎসবের মধ্যে দিয়ে আমরা আমাদের উপভোক্তাদের সঙ্গে আরও ভাল করে সংযোগ স্থাপন করতে পারি এবং তাদের জন্য অর্থপূর্ণ কিছু করতে পারি। এই বছরে 'এটা আমার মা' উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে আমরা চেয়েছিলাম আমাদের ভোক্তাদের এমন একটি মঞ্চ প্রদান করতে, যেখানে শহরের প্রত্যেক মানুষ তাঁদের মায়েদের প্রতি ভালবাসা এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে পারে, যা সত্যিই মূল্যবান। ক্যাম্পেইনটি বাস্তবায়িত করার পথে যেভাবে আমরা মানুষের ভালবাসা ও প্রতিক্রিয়া পেয়েছি, তাতে আমরা সত্যিই আপ্লুত। এবং আশা করছি, সকলের মনে উৎসবের আনন্দের ছোঁয়া দিতে পেরে এই বছর দুর্গাপুজোকে আমরা স্মরণীয় করে রাখতে পেরেছি।”

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ