GI (Geographical Indications) ট্যাগের পথে কোচবিহারের শীতলপাটি
প্রচন্ড গরম থেকে মুক্তি পেতে যেমন প্রচলিত ছিলো তালপাতার পাখা, তেমনি গরম কালে শীতলতার স্পর্শ পেতে আশ্রয় নিতে হতো শীতলপাটির কোলে। আর এই শীতলপাটি যেমন একদিকে শীতলতা প্রদান করতো তেমনি কোচবিহারের অর্থনীতির একটা বড় অংশই জুড়ে রয়েছে এই পাটি শীল্পের সাথেই।
কোচবিহার ১ ও ২ নম্বর ব্লক, মাথাভাঙার একাংশ, তুফানগঞ্জ ১ ও ২ নম্বর ব্লক এবং দিনহাটা ২ ব্লকের জীবন-জীবিকার একটা বড় অংশই যুক্ত এই শীতলপাটির সাথে। আর এই শীতলপাটি বা পাটি শিল্প মূলত গড়ে উঠেছে কোচবিহারের ধলুয়াবাড়িকে কেন্দ্র করেই। জেলার প্রায় তিরিশ হাজার শিল্পী প্রত্যক্ষভাবে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের পাশাপাশি নজর দিয়েছেন কোচবিহারের পাড়ি শিল্পের দিকেও। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন বাংলার শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা শীতলপাটিকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে যেতে। আর তাই সামনের মাসেই জিআই ট্যাগের (Geographical Indications) জন্য আবেদন জানাবে কোচবিহারের শীতলপাটি।
জি আই (GI Tag) হলো একটি সাইন যেটা নির্দিষ্ট একটি পণ্যের জন্য ব্যবহার করা হয়, যা কোনো নির্দিষ্ট ভৌগলিক এলাকার পণ্যের পরিচিতি বহন করে। এতে পণ্যটি ঐ দেশের পণ্য হিসেবে খ্যাতি পায় এবং প্রতিযোগিতামলূক বিশ্ববাজারে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়।
বাংলার রসগোল্লা আগেই জিআই (Geographical Indications) স্বীকৃতি পেয়েছে। এবার সেই তালিকায় শীতলপাটির নাম তুলতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। এই স্বীকৃতি পেলে বাংলার মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হবে। প্রসঙ্গত ভারতের প্রথম GI Tag পেয়েছিলো দার্জিলিং এর চা। আর এবার অপেক্ষায় কোচবিহারের শীতলপাটি।
3 মন্তব্যসমূহ
khubai vlo
উত্তরমুছুনভালো খবর
উত্তরমুছুনখুশির খবর
উত্তরমুছুনThank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊