বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কিত উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা 

flood situation


মধুসূদন রায়: 

তিন দিনের মুষলধারে বৃষ্টির ফলে নাজেহাল উত্তরবঙ্গবাসী। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে তিস্তা চর সংলগ্ন এলাকার মানুষজনদের সুরক্ষিত জায়গা স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জলের তলায় ময়নাগুড়ি ব্লকের দোমহনি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসুসুবার বিস্তীর্ণ এলাকা। জানা গেছে, ওই এলাকার বোধডাঙ্গি নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকতে শুরু করেছে গ্ৰামে। 



ফলে এখনো পর্যন্ত বেশ কিছু বাড়ি জলের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। অপরদিকে ময়নাগুড়ি ব্লকের হেলাপাকড়ি বাজার সংলগ্ন বুড়ির দোকান এলাকায় ফুলে ফেঁপে উঠতে শুরু করেছে তিস্তার জল। পাশাপাশি পাহাড়ের জল জড়ো হতে শুরু করেছে গজলডোবা ব্যারেজে। অনুমান করা হচ্ছে ব্যারেজের জল ছেড়ে দিলে ময়নাগুড়ি ব্লকের দোমহনি, বাসুসুবা এলাকায় প্রচুর ক্ষতি হবে। 



জল নিচের দিকে যত যাবে ততো বেশি ময়নাগুড়ি ব্লকের বার্নিশ, হেলাপাকড়ী সহ কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ব্লকের ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারে। 



পাশাপাশি জল থৈ থৈ অবস্থা উত্তরবঙ্গের দীর্ঘতম সেতু জয়ী সেতুতে। সাথে জল ভরাট হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন জলপাইগুড়ির সুকান্ত নগর কলোনী এলাকার বাসিন্দারা।জলপাইগুড়ির মন্ডলঘাট, বার্নিস,দোমহনি,রংধামালী,মৌমারীর চর,সারদা পল্লী, সুকান্ত নগর সহ বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার পরিবার বানভাসী।  বন্যা কবলিত এলাকায় পরিদর্শনে যান বিধায়ক ডাক্তার প্রদীপ কুমার বর্মা । সুকান্ত নগর ,সারদা পললী সহ তিস্তার জলে বানভাসি এলাকায়  ট্রিপল, ড্রাই ফুড, চাল ডাল এর ব্যবস্থা করেন তিনি।



দার্জিলিং এর কালিম্পং এ ধস নেমেছে, রাস্তা থেকে বাড়ি ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জলপাইগুড়ির একাধিক এলাকায় প্লাবিত। 

কোচবিহারের তোর্ষাও ফুসছে-জল উঠে গেছে নীচু এলাকায়। পৌরসভার বেশ কিছু ওয়ার্ড জলমগ্ন। 


সময় যত বাড়ছে ততোই বেশি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় জলের দাপটের খবর উঠে আসছে। সব মিলিয়ে বলা যেতেই পারে মুষলধারে বৃষ্টির ফলে বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কিত উত্তরবঙ্গবাসী।