অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিলে নাজেহাল বিদ্যুৎ গ্রাহকরা-বিক্ষোভ রাজ্যজুড়ে
WBSEDCL বিদ্যুৎ কোম্পানির কাছে তার গ্রাহকরা দীর্ঘদিন ধরে দাবী জানিয়ে আসছে প্রতি মাসের মিটার রিডিং নিতে হবে এবং সেই অনুসারে বিল পাঠাতে হবে। কিন্তু কর্মী সংখ্যা কম ও করোনার অজুহাতে তিন মাসের অধিক কখনও কখনও ৬ মাস, ৮ মাসে একবার মিটার রিডিং নিচ্ছে বলে অভিযোগ।
এর ফলে প্রতিমাসের বাকি ইউনিট যখন রিডিং নিতে আসছে সেই মাসে বড়ো অংকের ইউনিট হয়ে যাচ্ছে ফলে স্ল্যাব পরিবর্তন হয়ে বিদ্যুতের বিল বৃদ্ধি হচ্ছে । এমনকি বিদ্যুৎ গ্রাহকের বিল কোন কোন সময় দ্বিগুণ বা তিনগুণ হয়ে যাচ্ছে। যদি প্রতি মাসের বিল প্রতি মাসে বা নির্দিষ্ট সময়ের বিল নির্দিষ্ট সময়ে দিতে হতো, তাহলে গ্রাহককে এই দ্বিগুণ বিল দিতে হতো না বলেই মনে করছেন গ্রাহকরা।
সম্প্রতি সেপ্টেম্বর ২০২১ থেকে নভেম্বর ২০২১ এর যে বিল এসেছে তাতে ক্ষুদ্ধ গ্রাহকদের গরম তেলে জল পড়বার মতন অবস্থা। বিগত জুন ২০২১ থেকে আগস্ট ২০২১ এর বিল এর কোন রিডিং নিতে আসেনি করোনার কারনে । গড় হিসাবে একটা বিল করা হয়েছিল ষে বার, কিন্তু এবার রিডিং নিতে আসায় বিগত বিলের আউটস্টান্ডিং ইউনিট এবারের বিলে যুক্ত হয়েছে। ফলে বেশিরভাগ গ্রাহকেরই ইউনিট স্ল্যাবের পরিবর্তন হয়েছে।
জানা গিয়েছে পৌরসভা গুলিতে এই অসুবিধা না হলেও গ্রামাঞ্চল গুলিতে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই বিষয়ে আজ জলপাইগুড়ি থেকে শিলিগুড়ি, কোচবিহার এর WBSEDCL এর বিভিন্ন অফিসের ফোন নাম্বারে কল করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়ে উঠেনি।
3 মন্তব্যসমূহ
প্রশাসন এর এই বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত
উত্তরমুছুনকম বেশি সবার এ এরকম সমস্যা দেখ দিচ্ছে
এই বিষয়ে ভালো করে খুতিয়ে দেখা উচিত প্রশাসনের ।
উত্তরমুছুনকয়েক মাসের বিল একবারে আসলে এই সমস্যা হচ্ছে।। এক বারে এই বিল দেওয়া সাধারণ পরিবারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে।। নিয়মিত মিটার রিডিং দরকার।। যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।।
উত্তরমুছুনthanks