লঞ্চ ধরতে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটার দিন শেষ! Smart Card চালু হচ্ছে ফেরি পরিষেবাতেও

ferryghat




বিশ্বজিৎ দাস, কলকাতাঃ 

ফেরি পরিষেবাতেও মেট্রো রেলের ধাঁচেই এবার স্মার্ট কার্ড চালু হচ্ছে । আপাতত এই পরিষেবা চালু হচ্ছে কামারহাটির আড়িয়াদহ থেকে গঙ্গার উল্টোপাড়ের উত্তরপাড়ার মধ্যে।




লঞ্চ ১৫ মিনিট ছাড়া চলে। টিকিটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় একটা লঞ্চ ছেড়ে দেওয়া মানে, আবারও ১৫ মিনিট অপেক্ষা করা। এই সমস্যা মেটাতে মেট্রো রেলের ধাঁচেই এবার স্মার্ট কার্ড চালু হচ্ছে ফেরি পরিষেবাতেও।




এই ফেরি পরিষেবা আগামীতে অন্যান্য ফেরিঘাটগুলিতেও চালু করা হবে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এই সিদ্ধান্তে খুশি নিত্যযাত্রীরাও।




আড়িয়াদহ-উত্তরপাড়া শহর ও শহরতলীর মধ্যে অন্যতম ব্যস্ততম জলপথ। এই পথে লঞ্চে কের প্রতিদিন দশ হাজারেরও বেশি যাত্রী যাতায়াত করেন। তার মধ্যে অধিকাংশই নিত্যযাত্রী। ফলে প্রতিদিন লঞ্চ ধরার আগে টিকিটের লাইনে দাঁড়াতে হয় প্রত্যেককে। অফিসটাইমে ভিড় উপচে পড়ে লাইনে। বিশেষ করে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এবার এই সমস্যার চিরতরে সমাধানের পথে হাঁটছে পরিবহণ দফতর।




মেট্রো রেলের ধাঁচে স্মার্ট কার্ড পরিষেবা চালু হচ্ছে কামারহাটির আড়িয়াদহ-উত্তরপাড়ার মধ্যে। জানানো হয়েছে, টিকিট কাউন্টারের পাশেই টিকিট পাঞ্চিং মেশিন বসানো থাকবে। সেখানে স্মার্ট কার্ড ঠেকালেই খুলে যাবে গেট। তারপর ভেসেলে চড়ে নদীর এপার থেকে ওপার যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা। ওপারেও বেরনোর সময় কার্ড পাঞ্চ করতে হবে। জেলায় আধুনিক এই উদ্যোগ প্রথম বলে দাবি পরিবহণ বিভাগের।




এবার লঞ্চ ধরতে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটার দিন শেষ। আড়িয়াদহ ঘাটের ক্যাশ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত শর্মিষ্ঠা হালদার বলেন, 'এমন অনেকেই ছিলেন, যারা টিকিট ফাঁকি দিতেন। শুধু কী তাই, এক মান্থলিতে দিনে তিন-চার বার যাতায়াত করতেন। স্মার্ট কার্ড পরিষেবার চালু হলে বন্ধ হয়ে যাবে সেই সমস্ত কারচুপি বন্ধ হয়ে যাবে। অন্যদিকে টিকিট চেকারদেরও কিছুটা পরিশ্রম কমবে।'




কামারহাটির পুরপ্রশাসক গোপাল সাহা বলেন, 'শহরতলিতে পরিবহণ দফতরের এটি অভিনব উদ্যোগ। স্মার্ট পরিষেবায় আমরাই জেলায় প্রথম শরিক হচ্ছি।'