Film reviews হাসি আর ভয়ের মোড়োকে Bhoot Police
sabari chakraborty:
ডিজিটাল মিডিয়ায় গত এক বছর ধরে অনেক ছবিই মুক্তি পেয়েছে। তারা বাস্তববাদী এবং ইন্টেলেকুয়াল হবার দাবি করলেও দাগ কাটতে পারেনি।
নতুন ছবি ভূত পুলিশ এদের মধ্যে একটু অন্য ধাঁচের। দুজন মানুষ ভূত খুঁজছে—এই কনসেপ্টই বেশ অদ্ভুত। ছবিতে ভয়ের থেকে মজাই বেশি আছে। ফ্যামিলির সঙ্গে বসে দেখার মতো করে বানানো এই ছবি অবশ্যই মনের চাপ একটু কমাতে পারে, প্যানডেমিকের সময় এটা খুব ছোটো ব্যাপার নয়।
গল্প
বিভূতি ও তার ভাই চিরৌঞ্জি ভূত ধরে। এটাই ওদের পেশা। বিভূতি মনে করে, এ দেশে কুসংস্কার আছে বলেই তাদের ব্যবসা এগোচ্ছে, অন্যদিকে তার ভাই চিরৌঞ্জি বিশ্বাস করে, তারা তাদের বাবার কাছ থেকে যা শিকেছে, তারই প্রয়োগ হচ্ছে এই পেশার মাধ্যমে। তাদের দেখা হয় মায়া ও তার বোন কণিকার সঙ্গে। তাদের ধর্মশালার টি এস্টেটে এক আত্মার খোঁজ পাওয়া গেছে। তাই বিভূতি-চিরৌঞ্জিকে দরকার। এরপর কী হল, জানার জন্য দেখতে হবে ভূত পুলিশ।
অভিনয়
ছবির প্রধান অভিনেতা সইফ আলি খান। বিভূতির চরিত্রটি তাঁর জন্যই বানানো। এমনকী ডায়লগও লেখা হয়েছে তাঁকে মাথায় রেখে। তিনি তাদের সঙ্গে সুবিচারও করেছেন। এই ধরনের মজার চরিত্রে তিনি বরাবরই ভালো। তাঁর ভাই চিরৌঞ্জির চরিত্রে অর্জুন কাপুর। কখনও মজাদার, কখনও চিন্তাভাবনা করা একজন—চরিত্রের এই দুই দিককে তিনি ভালো সামলেছেন। তবে তাঁর চরিত্রটি তত গুরুত্ব দিয়ে চিত্রনাট্যে জায়গা দেওয়া হয়নি, ফলে কখনও কখনও তিনি সইফের পাশে ম্লান হয়ে গেছেন। মায়ার চরিত্রে ইয়ামি গৌতম তেমন দাগ কাটতে পারেননি। কণিকার চরিত্রে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ এখনও হিন্দি উচ্চারণে এবং অভিনয়ে সহজ নন। তাঁর স্ক্রিন প্রেজেন্স ভালো।
এছাড়া ছবিতে রাজপাল যাদব, জাভেদ জাফরি, জেমি লিভারকে ভালো লাগে।
পরিচালনা
পরিচালক পবন কৃপালনি ভূত নিয়ে আগেও ছবি করেছেন এবার ভূত পুলিশ-এ ভয়ের সঙ্গে হিউমার মিশিয়েছেন। বনের মধ্যে ভূত খোঁজার দৃশ্যে কমেডির ছোঁয়া দেখতে ভালো লাগে। প্রথম ভাগের থেকে দ্বিতীয় ভাগ বেশি আকর্ষণীয়। গল্প কখনও কখনও খেই হারালেও তা আবার নিয়ন্ত্রণে আসেছে দ্বিতীয় ভাগেই। ছবিতে কোনও কোনও দৃশ্যে কমিক ও হরর পাঞ্চ আরও একটু জোরদার হলে ভালো হত।
চিত্রনাট্য
ছবির চিত্রনাট্যকার সুমিত ভাতেজা ও পূজা লাধা সুরতি ভয় আর হিউমারকে চিত্রনাট্যে মেশাতে পেরেছেন। তবে তাঁদের ডায়লগ সব ক্ষেত্রে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়নি। চিত্রনাট্যে তাঁরা মেয়েদের লেখাপড়া, এনআরসি, নেপোটিজম, ইত্যাদি বিষয়কেও হাসির মধ্যে দিয়ে দেখিয়েছেন, যা প্রশংসাযোগ্য।
সিনেমাটোগ্রাফার জয়কৃষ্ণ গুম্মাডি ছবিতে রহস্যের পরিবেশ রচনায় সক্ষম।
শচীন-জিগর-এর মিউজিক খুব ভালো হয়নি।
ক্লিন্টন সেরেজো-র ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছবির সঙ্গে মানানসই।
চেনা ভূতের ছবির থেকে এই ছবি একটু আলাদা। ভয়ের সঙ্গে হাসির মোড়োক খুব একটা দেখা যায় না। তাই দেখে আসুন Bhoot Police।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊