'দুয়ারে রেশন' প্রকল্পে স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ হাইকোর্টের



আজ থেকে রাজ্য জুড়ে চালু হল 'দুয়ারে রেশন' প্রক্লপ। আর আজকের দিনেই হাইকোর্টে 'দুয়ারে রেশন' প্রক্লপে থাকা স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ কলকাতা হাইকোর্টের। এই রায়ের পর আর কোনও বাঁধা থাকলো না রাজ্যের। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল রাজ্য। 


একুশের বিধানসভা ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরন করতে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। আজ, বুধবার থেকে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে চালু হল 'দুয়ারে রেশন'। খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, এই প্রকল্পের আওতায় থাকছে তিন হাজারেরও বেশি রেশন দোকান। প্রত্যেকটি জেলা থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট সংখ্যক ডিলারকে। 


দুয়ারে রেশন প্রকল্পের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রেশন ডিলারদের একাংশ। তাঁদের দাবি, রেশন বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া আইনবিরুদ্ধ। শুনানিতে একাধিক তথ‍্য তুলে ধরেন ডিলাররা। যদিও ডিলারদের যুক্তি খারিজ করেছে রাজ‍্য। তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনা অবাস্তব। এই প্রকল্প বাস্তবায়ণের পরিকাঠামো ও লোকবল নেই তাঁদের কাছে।


ডিলারদের আইনজীবী আদালতে বলেছিলেন, রাজ্যের প্রকল্প বেআইনি। রেশন বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কোনও নির্দেশ নেই খাদ্য সুরক্ষা আইনে। আইন মোতাবেক সবাইকে রেশন দোকানে এসে সামগ্রী সংগ্রহ করতে হবে। প্রকল্প চালানোর লোকবল নেই, নেই পরিকাঠামো এমনকি এরজন‍্য খরচ কোথা থেকে তাও জানায়নি রাজ‍্য আইনজীবীর সাফ কথা, শহরাঞ্চলে তবু পরিকল্পনা করা গেলেও গ্রামাঞ্চলে এই প্রকল্প অবাস্তব।


শুনানিতে সদ্য পদত্যাগী অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত অবশ্য স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, 'দুয়ারে রেশন প্রকল্প ভবিষ্যতেও চলবে। সামান্য কয়েকজন ডিলার আদালতে এসেছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ ডিলার প্রকল্পের সঙ্গে আছেন। তাঁরা আদালতে আসেননি।' 


আশ্বাস দিয়েছিলেন, 'কোনও ডিলারের আইনি অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়নি। আমরা ডিলারদের অতিরিক্ত সহযোগিতা করছি'। শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা। শেষপর্যন্ত এদিন স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করে দিলেন তিনি।