স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলে কি লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে না?
রাজ্যে ২০১১ সালে প্রথম বার ক্ষমতায় এসেই রাজ্যের প্রতিটি মানুষ যাতে চিকিৎসা পরিসেবা পায়। তার জন্য চিকিৎসা পরিসেবায় স্বাস্থ্য সাথী কার্ড চালু করে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল ও নার্সিং হোম গুলি থেকে থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসার পাবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের অন্তর্ভুক্ত পরিবারের সদস্যরা।
সম্প্রতি ঘোষিত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে প্রয়োজন পড়বে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের এমন খবর সামনে এসেছে। অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে যাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই তাঁরা কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে?
এই প্রশ্নের উত্তর জানবার আগে জেনে নেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প বিষয়ে।
নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পে তফসিলি জাতি–উপজাতির মহিলারা পাবেন মাসে ১০০০ টাকা। আর সাধারণ পরিবারের মহিলারা মাসিক ৫০০ টাকা পাবেন।
তিনি বলেন, '১ সেপ্টেম্বর থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে সুবিধা পেতে শুরু করবেন মহিলারা। তার জন্য দরখাস্ত দিতে হবে। দুয়ারে সরকার শুরু হচ্ছে ১৬ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর। সেখানে মা–বোনেরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করবেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখালেই হবে-আবেদন করা যাবে।'
তাও দরখাস্তপত্র নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আবেদনপত্র Download করুন-
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করতে গেলে যা যা লাগবে
1.আধারকার্ড (Aadhaar Card)
2.ভোটারকার্ড (Voter Card)
3.রেশনকার্ড (Ration Card)
4.জাতিগত শংসাপত্র (এসসি এসটি ওবিসি) (Cast Certificate)
5.ব্যাঙ্ক পাশবই এর জেরক্স (Bank passbook)
6.পাসপোর্ট সাইজ ছবি (Passport Size photo)
7.স্বাস্থসাথী কার্ড (Swastha sathi card)
8.মোবাইল নাম্বার- (Mobile Number)
এই সমস্ত রকমের নথিপত্র সহ দুয়ারে সরকারের শিবিরে এসে আবেদন করতে হবে। কোথায় এখনো পর্যন্ত বলা হয়নি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা যাবে না।
যাদের এখনো সাস্থ্যসাথি কার্ড নেই তাঁরা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আবেদন জানাতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊