গ্রামীণ ভারতে ১ লক্ষ মাইক্রো-এটিএম বসিয়ে ভারতের নেতৃস্থানীয় এটিএম নেটওয়ার্ক তৈরি করল স্পাইস মানি




স্পাইস মানি ভারতের গ্রামীণ পিন কোডের ৯৫% নিজেদের আওতায় এনে ফেলেছে, ফলে ব্যাঙ্কিংবিহীন এবং অপর্যাপ্ত ব্যাঙ্কিংসম্পন্ন

মানুষের কাছে মাইক্রো-এটিএম পৌঁছে দেওয়া নিশ্চিত হয়েছে

বৃহত্তর অন্তর্ভুক্তি এবং আর্থিক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে স্পাইস মানি ৭ লক্ষ অধিকারীর নেটওয়ার্কের মাধ্যমে

গ্রামীণ ভারতের প্রান্তিক মানুষের ডিজিটাল ও আর্থিক পরিষেবার প্রয়োজন মেটাবে




মুম্বাই, আগস্ট ১৭, ২০২১: ভারতের অগ্রগণ্য গ্রামীণ ফিনটেক স্পাইস মানি গ্রামাঞ্চলের আর্থিক ও ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির মিশনের মাধ্যমে গ্রামের মানুষের মধ্যে আর্থিক স্বাধীনতার প্রচার করে চলেছে। এই মিশনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ হিসাবে আজ স্পাইস মানি ঘোষণা করল, যে তারা এক বিরাট এটিএম নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করেছে। গ্রামীণ ভারত জুড়ে ১ লক্ষ স্পাইস মানি মাইক্রো-এটিএম কাজ করছে। এটিএম পরিকাঠামো শক্তিশালী করা স্পাইস মানির এই প্রয়াসের এক জরুরি পর্যায়। ফলে ১ লক্ষ এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। ভারতে কোনো ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠিত প্রথাগত এটিএমের সর্বোচ্চ সংখ্যা এই মুহূর্তে প্রায় ৬০,০০০। সুতরাং স্পাইস মানি এখন দেশের সবচেয়ে দ্রুত বেড়ে চলা মাইক্রো-এটিএম নেটওয়ার্ক। স্পাইস মানির মাইক্রো-এটিএম নেটওয়ার্কে মাসে ১০০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়।




১৯২১ সালে প্রথাগত ব্যাঙ্কিং বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ইম্পিরিয়াল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ছিল একমাত্র ব্যাঙ্ক যা ভারতীয়দের পরিষেবা দিত। সেই যুগ থেকে ভারত বহুদূর চলে এসেছে। ১৯৫০-এর দশকে ভারতীয় ব্যাঙ্কিং বেসরকারি ক্ষেত্রের জন্য খুলে দেওয়া হয় আর আজ ভারত গ্লোবাল ব্যাঙ্কিং এবং ফিনটেক বিপ্লবের অন্যতম নেতা। কয়েক বছর ধরে গ্রামাঞ্চলে ব্যাঙ্কিংয়ের সুযোগ বাড়ছে বটে, কিন্তু ৬,০০,০০০ গ্রামের মধ্যে মাত্র ৫% গ্রামে ২০১৯ সালে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের শাখা ছিল। সার পৃথিবীর সাথে তুলনা করলে দেখা যায় ভারত সবচেয়ে কম এটিএম সম্পন্ন দেশগুলোর মধ্যে পড়ে। দেশের প্রায় ৬৫০,০০০ গ্রাম রয়েছে, আর ১০টা গ্রাম পিছু মাত্র একটা এটিএম আছে। ভারতের জনসংখ্যার ৬৫%-এর বেশি বাস করে গ্রামীণ ভারতে, অথচ দেশের মোট এটিএমের মাত্র ২০% রয়েছে গ্রামাঞ্চলে। পরিকাঠামোর খরচ, সচেতনতার অভাবের ফলে কম ব্যবহার, বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা, চুরি, গুন্ডামি ইত্যাদি গ্রামাঞ্চলে এটিএম অপারেটরদের অনাগ্রহের প্রধান কারণ। এই চ্যালেঞ্জগুলো জনসংখ্যার এই অংশের কাছে মৌলিক ব্যাঙ্কিং সুবিধাগুলো পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়ায় গতি আনার পক্ষে আজও বাধা।




গ্রামীণ আয় বাড়ছে, ফলে গ্রামীণ ভারতে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার চাহিদাও বাড়ছে। ভারতের ডিজিটাল এলাকার সীমানা বাড়ছে, তাই ডিজিটাল ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে ব্যাঙ্কিংবিহীন এবং অপর্যাপ্ত ব্যাঙ্কিংসম্পন্ন গ্রামাঞ্চলগুলোকে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার মানচিত্রে নিয়ে আসা সম্ভব হচ্ছে। গ্রামীণ আর্থিক নেটওয়ার্কে প্রযুক্তিগত সমন্বয় ঘটানোর কোম্পানি হিসাবে স্পাইস মানি তার অধিকারীদের (ব্যাঙ্কিং কর্মী), পাড়ার কিরানা স্টোর / স্টেশনারি দোকান অথবা ইন্টারনেটের নাগাল পাওয়া যে কোনো ব্যক্তিকে মাইক্রো-এটিএম নেওয়ার ক্ষমতা দিচ্ছে এবং নিজের ব্যবসাকে স্পাইস মানি ‘ডিজিটাল দুকান’-এ পরিণত করার সুযোগ দিচ্ছে। এঁরা স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে টাকা তোলা আর জমা দেওয়ার অত্যাবশ্যক ব্যাঙ্কিং পরিষেবাটুকু দিতে পারবেন। বিশেষ করে অতিমারির কারণে হওয়া লকডাউনে মাইক্রো-এটিএমগুলো মানুষকে টাকা তোলা এবং অন্যান্য অত্যাবশ্যক পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান শক্তি হিসাবে কাজ করেছে। স্পাইস মানির মাইক্রো-এটিএম নেটওয়ার্ক বহুগুণ বেড়েছে। ফেব্রুয়ারি ২০২০-তে ছিল ১৮,০০০ আর এখন হয়েছে ১,০০,০০০। নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত ৭ লক্ষ অধিকারীর মাধ্যমে কোম্পানি ভারতের গ্রামীণ পিন কোডের ৯৫% নিজেদের আওতায় এনে ফেলেছে। ফলে মাইক্রো-এটিএমগুলোর হাত দেশের অপর্যাপ্ত আর্থিক পরিষেবাসম্পন্ন এবং নগদে চলা অংশগুলোতেও পৌঁছে গেছে।




সঞ্জীব কুমার, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, স্পাইস মানি, বলেন “প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই স্পাইস মানির মিশন হল ভারতের গ্রামীণ নাগরিকদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, এবং তার মাধ্যমে এন্ড ইউজারদের আর আমাদের গ্রামীণ উদ্যোগী, অর্থাৎ অধিকারীদের, বৃহত্তর আর্থিক স্বাধীনতা দেওয়া। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বছরে আমরা প্রবেশ করছি। আমাদের পরম সৌভাগ্য যে এই ল্যান্ডমার্ক বছরটা আমাদের এই প্রতিশ্রুতি পূরণ করার মধ্যে দিয়ে উদযাপন করতে পারছি।”




সঞ্জীব আরও বলেন “২০২১ মার্চের শেষ পর্যন্ত ১.৩ বিলিয়ন জনসংখ্যার জন্য ভারতে মাত্র ২.৩৯ লক্ষ এটিএম ছিল। এই সংখ্যা থেকে প্রমাণ হয় যে জন ধন অ্যাকাউন্টগুলোতে ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারের ফলে আধা-শহর ও গ্রামীণ অর্থনীতির যে বৃদ্ধি হচ্ছে, তার প্রয়োজন মেটানোর উপযুক্ত এটিএম পরিকাঠামো আমাদের নেই। এইসব অঞ্চলে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে এটিএম নেটওয়ার্ক হ্রাস পেয়েছে, ফলে নগদ বহুল অর্থনীতি ডিজিটাল আর্থিক পরিষেবার যথেষ্ট নাগাল না পেয়ে ধুঁকেছে। দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কাজে এ এক বিরাট বাধা। স্পাইস মানি ধারাবাহিকভাবে ভারতের কোণে কোণে মাইক্রো-এটিএম নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দিয়ে আর্থিক ও ডিজিটাল ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করে গেছে, যাতে গ্রামীণ গ্রাহকরা নিজেদের টাকার অধিকার পান এবং আর্থিক স্বাধীনতার স্বাদ পান। এক লক্ষ এটিএমের নেটওয়ার্ক তৈরি করে ফেলা আমাদের জন্যে এক মাইলফলক ঠিকই, তবে আমরা আমাদের নাগাল বাড়াতে থাকব এবং আরও বেশি গ্রামীণ গ্রাহককে তাঁদের আর্থিক প্রয়োজনে সাহায্য করব।”




সোনু সুদ, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর অ্যান্ড অ্যাডভাইসরি বোর্ড মেম্বার, স্পাইস মানি, বলেন “আমি ছোট ব্যবসাগুলোকে আরও বেশি বৃদ্ধির সুযোগ দিয়ে সমর্থন করে এসেছি, যাতে ওরা উন্নতি করার সাথে সাথে যে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে কাজ করে তাদেরও সুযোগসুবিধা দিতে পারে। স্পাইস মানি মাইক্রো-এটিএম এইসব ছোট ব্যবসায়ীদের পক্ষে দারুণ জুতসই। তাঁরা এবার নিখরচায় নিজেদের ব্যবসাকে স্পাইস মানি ডিজিটাল দুকানে পরিণত করতে পারেন আর তাঁদের ক্রেতাদের অত্যাবশ্যকীয় ব্যাঙ্কিং প্রোডাক্টগুলোর অতিরিক্ত পরিষেবাও দিতে পারেন। মাইক্রো-এটিএমগুলো গ্রামীণ ভারতে পাড়ার কিরানা স্টোরে ব্যাঙ্কিং লেনদেনের সুবিধা পৌঁছে দিয়ে আর্থিক পরিষেবার ব্যবধানগুলো দূর করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।”




এ বছর কিছুদিন আগে স্পাইস মানি প্রকৃতপক্ষে নিখরচায় কোম্পানির মাইক্রো এটিএম যন্ত্রগুলো বিলিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল, যাতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির স্বপ্ন সফল করার গতি আরও বাড়ানো যায় এবং অধিকারীদের এক বিস্তৃত এটিএম নেটওয়ার্কে গড়ে তোলার কাজে যুক্ত হতে উৎসাহিত করা যায়। মে ২০২১-এ স্পাইস মানি দেশের প্রথম কোম্পানি হিসাবে ভারতের শেষ গ্রাম, হিমাচল প্রদেশের চিতকুলে, এটিএম প্রতিষ্ঠা করে। ওই গ্রামের মাত্র দুটো কিরানা স্টোরের একটা মাইক্রো-এটিএম প্রতিষ্ঠা করে স্পাইস মানি ডিজিটাল দুকানে পরিণত করা হয়। তার আগে চিতকুলের বাসিন্দাদের নিকটতম এটিএম ছিল ২৫ কিলোমিটার দূরে সাংলায়। স্পাইস মানি তার মাইক্রো-এটিএম নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ওরকম আরও প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছবার পরিকল্পনা করেছে।




About Spice Money

Spice Money is India’s leading rural fintech company with over 700,000 Adhikaris (entrepreneurs) offering cash deposit, Aadhar enabled payment system for cash withdrawal, mini ATM, insurance, loans, bill payments, cash collection centre for customer/agents/representative of NBFC/Banks, airtime recharge, tours & travel, online shopping, Pan Card and mPoS services. More than 90% of their network reside in semi-urban and rural India. Spice Money services are available through Spice Money App (Adhikari App) and web portal. The user-friendly interface and superior technology platform has earned the app a 4.4 star rating, best in industry, on Google Play Store. Spice Money through its cutting edge technology and wide network of Spice Money Adhikaris, is bridging the gaps in access to various financial services for the masses across the length and breadth of India. To know more, visit https://spicemoney.com