পশুখাদ্য মিল থেকে পালিশ করে সাধারন মানুষকে দেওয়া হচ্ছে রেশনের মাধ্যমে! চাঞ্চল্য এলাকায়
ভূয়ো চালান বানিয়ে লড়িতে P D S ফ্লেক্স লাগিয়ে খাদ্য দপ্তরের গোডাউনে থাকা নষ্ট হয়ে যাওয়া চাল পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে মিলে। ফের মিল থেকে পালিশ করে ঐ চাল সাধারন মানুষকে দেওয়া হচ্ছে রেশনের মাধ্যমে এই অভিযোগে লড়ি আটকে তা তুলে দেওয়া হলো পুলিশের হাতে।
এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি আসাম মোড় এলাকায়। সুত্রের খবরে জানা গেছে জলপাইগুড়ি খাদ্য দপ্তরের গোডাউনে বেশ কয়েকবছর ধরে পড়ে রয়েছে ২০০ মেট্রিক টন নষ্ট হয়ে যাওয়া চাল। যেই চাল মানুষের খাদ্যের অযোগ্য। এই চাল পশু খাদ্য হিসাবে নিলামে বিক্রি করেছে খাদ্য দপ্তর। যা নির্দিষ্ট টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কিনেছে মধ্যপ্রদেশের এক পশুখাদ্য প্রস্তুতকারক কোম্পানি। অভিযোগ এবার সেই কোম্পানি ভূয়ো চালান বানিয়ে স্থানীয় এলাকার রাইস মিলের হাতে তুলে দিচ্ছে। যা সম্পূর্ণ বে আইনি।
স্থানীয় বাসিন্দা বাপী চন্দের অভিযোগ P D S ফ্লেক্স লাগিয়ে খাদ্য দপ্তরের গোডাউনে থাকা নষ্ট হয়ে যাওয়া চাল স্থানীয় মিলে পাঠানো হচ্ছে। সেই চাল পালিশ করে ভালো চালের সাথে মিলিয়ে আবার তা রেশনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলি করা হচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরে এমন খবর আমাদের কাছে ছিলো। আমরাও নজর রাখছিলাম। আজ আমাদের এলাকার ছেলেরা লড়ি আটকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। আমরা এর তদন্ত চাই।
তৃনমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জিত কর্মকার বলেন আমরা যা দেখলাম এই চাল গুলির মধ্যে সব চাল নষ্ট হয়ে যায়নি। এই চাল গুলি স্থানীয় মিলে গিয়ে আবার নতুন করে প্যাকেট হয়ে আসতে পারে। আমরা এর তদন্ত চাই।
স্থানীয় লড়ি সিন্ডিকেটের সম্পাদক টিটু সিং বলেন এরা ভূয়ো চালান বানিয়ে পশুখাদ্য স্থানীয় মিলে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা এই ঘটনাকে ধিক্কার জানাই। আমরা এর তদন্ত চাইছি।
ঘটনায় কোম্পানীর ম্যানেজার দিপক আগওয়াল তাদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তারা ২০০ মেট্রিন টন চাল এই গোডাউন থেকে কিনেছেন। এটা দিয়ে পশু খাদ্য তৈরী হবে। জলপাইগুড়ির একটি গোখাদ্য প্রস্তুতকারী সংস্থাকে আমরা চাল বিক্রি করেছি কিন্তু রাইস মিলে চাল দিই নি।
ঘটনায় জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন নির্দিষ্ট কাগজপত্র না থাকায় দুটি লড়ি আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊