আজ কিংবদন্তী মহানায়কের মহাপ্রয়াণ দিবস
মিঠুন চক্রবর্তী মহানায়ক উত্তমকুমার (uttam kumar) সম্পর্কে বলেছিলেন -
‘‘এ রকম খাঁটি বাঙালি আমি কম দেখেছি। আমি নিজে ধুতি পাঞ্জাবি, কালোজিরে দিয়ে পারশে মাছের ঝোল, ঘরে পাতা দই, এ সবই পছন্দ করি। তবু বলব উত্তমদার মতো এমন ভাবনাচিন্তায়, হাঁটাচলায়, কথাবার্তায়, খাওয়াপরায় বাঙালি আমি বোধহয় কোনদিন হয়ে উঠতে পারব না।’’
আজ মহানায়ক উত্তমকুমারের (uttam kumar) ৪২ তম মৃত্যুবার্ষিকি । ২৪ শে জুলাই, ১৯৮০ অসামান্য অভিনয় প্রতিভার অধিকারী মহানায়ক উত্তম কুমার চিরনিদ্রায় নিদ্রিত হন। কিন্তু বাঙালীর মনে তিনি আজও এক এবং অদ্বিতীয় মহানায়ক।
উত্তম কুমার ১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কলকাতার ৫১ নং আজিরী টোলা স্ট্রিটে জন্মগ্রহণ করেন। দাদু আদর করে তাকে ডাকতেন উত্তম। তবে আসল নাম ছিল অরুন কুমার চট্টোপাধ্যায়। তার বাবার নাম সাতকড়ি-চট্টোপাধ্যায়, মা চপলা দেবী।
উত্তমের ভুবনভোলানো হাসি, অকৃত্রিম রোমান্টিক চোখের দৃষ্টি আর অতুলনীয় অভিনয়ের গুণে প্রজন্মের পর প্রজন্ম পেরিয়েও বাঙালি দর্শকদের হৃদয়ের মণিকোঠায় তিনি মহানায়ক। ১৯৪৮ সালে 'দৃষ্টিদান' দিয়ে শুরু আর ১৯৮০ সালে এসে 'ওগো বধূ সুন্দরী' ছবিতে অভিনয় করার সময় জীবনাবসান। মাত্র ৫৪ বছরের ক্ষণজন্মা কিংবদন্তী অভিনেতা উত্তম কুমার চলচ্চিত্র শিল্পকে দিয়েছেন জীবনের ৩২ টা বছর।
তবুও অতৃপ্তি মেটে না। মিটবে কী করে? উত্তম কুমারের (uttam kumar) জন্ম তো বারবার হয় না, হবেও না কোনোদিন। তার চলে যাওয়া ছিল বাংলা চলচ্চিত্র (bengali cinema) শিল্পের আলোকবর্তিকার মৃত্যু।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊