উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দির মণীন্দ্রচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী রুমানা সুলতানা




করোনা আবহের জের ২০২১-র উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল হওয়ার পর মাধ্যমিক ও একাদশের নম্বরের ভিত্তিতে আজ প্রকাশিত হল উচ্চ মাধ্যমিকের ফল। পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় এবছর মেধা তালিকা প্রকাশ করেনি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। তবে জানা যাচ্ছে এককভাবে ৫০০-তে ৪৯৯ নম্বর পেয়ে রাজ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দির মণীন্দ্রচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী রুমানা সুলতানা।



২০১৯ এর মাধ্যমিকে ৬৮৭ নম্বর পেয়ে রাজ্যে পঞ্চম স্থানও অধিকার করেছিল রুমানা সুলতানা। পড়াশোনার চাপে সেভাবে সময় বের করতে না পারলেও অবসরে কবিতা লেখার অভ্যেস রুমানার। বড় হয়ে বিজ্ঞানী হতে বা চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় রুমানা।তাঁর বাবা রবিউল আলম ভরতপুরের গয়সাবাদ অচলা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মা সুলতানা পারভিনও শিক্ষিকা। করোনা আবহে জীবনের দ্বিতীয় বড় পরীক্ষা না দেওয়ার আক্ষেপও রয়েছে রুমানার। তবুও বিগত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে বিশেষ ফর্মুলায় মূল্যায়নেও অভাবনীয় ফল কৃতি ছাত্রীর।


এদিন মহুয়া দাস জানান, উচ্চ মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর ৪৯৯, পেয়েছেন মুর্শিদাবাদের ছাত্রী। এবছর উচ্চমাধ্যমিকে পাসের হার ৯৭.৬৯ শতাংশ। তিনি জানান, ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৩২৭জন পরীক্ষার্থী প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকে এবার মোট পরীক্ষার্থী ৮ লক্ষ ১৯ হাজার ২০২জন।


সাংবাদিক বৈঠকে সভাপতি মহুয়া দাস বলেন, এ বছর উচ্চমাধ‍্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল ৮ লক্ষ ১৯ হাজার ২০২ জন। তার মধ্যে পাশ করেছে ৯৭.৬৯ শতাংশ ছাত্রছাত্রী। এর মধ‍্যে ছেলেদের পাসের হার ৯৭.৭০ শতাংশ। মেয়েদের পাসের হারও প্রায় সমান। রাজ্যের সমস্ত জেলায় পাসের হার ৯০ শতাংশ ও তার বেশি। মাইনরিটিদের পাসের হার ৯৭.৪৬ শতাংশ। তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের ক্ষেত্রে পাসের হার ৯৭.৩৩ শতাংশ। এছাড়া প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৩২৭ জন ছাত্রছাত্রী।


তিনি আরো বলেন, এ গ্রেড পেয়েছেন ৯৫ হাজার ৭৫৮জন পরীক্ষার্থী। 


করোনা আবহে মাধ্যমিকের মতো এবছর বাতিল হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও। বিগত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে বিশেষ ফর্মুলায় হয়েছে মূল্যায়ন। উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হলেও মাধ্যমিকের মতোই প্রকাশিত হবে না মেধা তালিকা। উচ্চমধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে,  শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে দেওয়া হবে মার্কশিট, সার্টিফিকেট ও অ্যাডমিট কার্ড। সংসদের ৫২টি বিতরণ কেন্দ্রে থেকে তা তুলে দেওয়া হবে স্কুলগুলির হাতে।