নন্দীগ্রামের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়




নন্দীগ্রামের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে কোভিডকালে শুক্রবারই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হবে শুনানি। হবে সওয়াল-জবাব।



একুশের বিধানসভা নির্বাচনের মূল ফোকাস ছিল নন্দীগ্রাম। নির্বাচনের সময় তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীর লড়াই ঘিরে আলাদা একটা উত্তেজনা ছিল। হাইভোল্টেজ লড়াই ছিল নন্দীগ্রাম।


ভোটগণনায় সকাল থেকে ছিল উত্তেজনায় ভরা। কখনও এগিয়ে ছিলেন শুভেন্দু, কখনও মমতা। শেষের দিকে চলতে থাকে জোর টক্কর। অবশেষে শেষ হাসি হেসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এর মধ্যে চলছিল বিতর্ক।


প্রথমে সংবাদ সংস্থা এএনআই দাবি করে, ১২০০-র কাছাকাছি ভোটে জিতেছেন মমতা। কিন্তু পরক্ষনে জানা যায় ১৯৫৬ ভোটের ব্যবধানে মমতাকে হারিয়ে নন্দীগ্রাম সিটে জয়ী বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী।


তৃণমূল বিপুল ভোটে জয়লাভ করলেও নন্দীগ্রামের ফল উল্টো হওয়ায় বিস্মিত হন দলনেত্রী। ফলপ্রকাশের দিনেই জানান আদালতের যাওয়ার কথা। তিনি বলেছিলেন, ''গোটা রাজ্যের থেকে আলাদা রায় দিল নন্দীগ্রাম, এটা হতে পারে না। আমি আদালতে যাব। কারণ আমার কাছে খবর আছে, ভোটের ফল ঘোষণার পর কারচুপি হয়েছে। সেটা খুঁজে বের করব।


আর সেই মতো এবার নন্দীগ্রামকে রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবিষয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের কথায়,''মামলা করার অধিকার আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি করেছেন। পরাজয় মেনে নিতে পারছেন না তিনি। তিনি মামলা করলেও শুভেন্দুকে হারিয়ে দেওয়া যাবে না।''