কতদিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে মানুষ? নয়া গবেষনায় মিলল জবাব 




জীবন খুব ছোটো। এই আক্ষেপ নিয়েই বাঁচতে হয় মানুষকে। বিজ্ঞানের আধুনিকতাতেও মাবন জীবনের আয়ু বাড়ানো সম্ভব হয়নি। একটি নির্দিষ্ট বয়সসীমায় পৃথিবীর মায়া ত‍্যাগ করে বিদায় নিতে সকলকেই। তবে একটা মানুষ কতদিন বাঁচতে পারে তা উঠে এল নয়া গবেষনায়। 




‘নেচার কমিউনিকেশনস’ জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় গাণিতিক মডেলিং পদ্ধতির সাহায্যে মানুষের সর্বোচ্চ আয়ু নির্ণয় করার কথা জানানো হয়েছে। আর সেই গবেষণা পত্র অনুযায়ী মানুষ ১২০ থেকে ১৫০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। এই বয়স সীমার পর অসুস্থতা ও ক্ষত সারিয়ে ওঠার মতো ক্ষমতা আর থাকে না মানব শরীরের। ফলে মৃত‍্যু হবেই। 




জানা যাচ্ছে, প্রভূত পরিমাণে তথ্য নিয়ে কাজ করেই এই তথ‍্য সামনে এসেছে তবে তা অনুমান মাত্র। অন্যতম গবেষক নোভাটোর এক গবেষণাকারী সংস্থার অধ্যাপক জুডিথ ক্যামপিসি জানাচ্ছেন, ঐতিহাসিক ও বর্তমান সব ধরনের তথ্যই কাজে লাগানো হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘এটা অবশ্যই অনুমান। তবে যথেষ্ট পরিমাণে তথ্যের উপরে তৈরি করেই তা করা হচ্ছে।’’




আমেরিকা, ব্রিটেন, রাশিয়ার প্রায় ৫ লক্ষ মানুষের মেডিক্যাল তথ্য নিয়ে কয়েক মাস ধরে রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে বারবার ও দুই ধরনের অসুখ প্রতিরোধী শ্বেত রক্তকণিকা, তিনটি বিভিন্ন বয়সের শ্রেণি এবং নানা ধরনের আকারের রক্তকোষের উপরে ভিত্তি করে গবেষণা এগিয়েছে। সমস্ত তথ্যকে একত্রিত করে কম্পিউটার মডেল তৈরি করে তাঁদের ‘বায়োলজিক্যাল’ বয়স নির্ণয় করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে নেওয়া রক্তের নমুনা বিশ্লেষণ করে তাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা ও আঘাত সামলে ওঠার ক্ষমতার কতটা পরিবর্তন হচ্ছে তা খতিয়ে দেখে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন গবেষকরা। সক্ষমতার বিষয়টিও দেখা হয়েছে। 




সব মিলে দেখা গিয়েছে, কোনও মানুষের পক্ষেই ১৫০ বছরের বেশি আয়ু পাওয়া সম্ভব নয়। এই বয়ঃসীমা নিয়ে তর্ক থাকতে পারে, সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না গবেষকরা। জুডিথ ক্যামপিসির মতে, ‘‘একটা বিষয় নিশ্চিত। আমাদের সকলকেই একদিন না একদিন মরতে হবে।’’