৫০ বছরের মাথায় হকিংয়ের ব্ল‍্যাক হোল তত্ত্বের মিলল প্রমান





স্টিফেন হকিং। একজন প্রবাদ প্রতিম বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ হকিংকে চেনে না এমন মানুষ পাওয়া যাবে না। প্রবাদ প্রতিম বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং-য়ের ব্ল‍্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে একটি তথ‍্যের প্রমান মিলল অর্ধ শতাব্দী পর। কোনো এক ব্ল‍্যাকহোলের ভবিষ্যতের চেহারাটা কেমন হবে তা নিয়ে হকিং-য়ের তথ‍্য কতটা সত‍্য তাই প্রমান হল। ব্রহ্মাণ্ডের সুদূরতম প্রান্ত থেকে সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে পৃথিবীতে পৌঁছনো মহাকর্ষীয় তরঙ্গের মাধ্যমে তা প্রমান হয়ে গেল।



ব্ল‍্যাক হোলের চেহারা কমেনা বরং তা দিনের পর দিন বেড়েই চলে এমনটাই জানিয়েছিলেন স্টিফেন হকিং। যা হকিংয়ের ‘ব্ল্যাক হোলস’ এরিয়া থিয়োরেম’ নামে পরিচিত। ব্ল‍্যাক হোলে কোনো বস্তু মেঘ, নক্ষত্র কোনো কিছু প্রবেশ করলে তা অভিকর্ষের টান এড়িয়ে এতটাই গভীরে প্রবেশ করে যে তা আর ফিরে আসতে পারে না। ব্ল‍্যাক হোলে কিছু ছুড়ে দেওয়া হলে তা ভিতরে প্রবেশ করে আর তার ওজন বাড়ে।তবে এই বস্তু গুলো ব্ল‍্যাক হোলে ঘূর্ণি সৃষ্টি করে ফলে আকারে কমে। কিন্তু আকার কমার থেকে আকার বাড়ে। তা কিছুতেই আকারে ছোট হয়ে যেতে পারে না। এমনটা প্রথম হকিং-ই বলেছিলেন।



৬ বছর আগে আমেরিকার ‘লাইগো’ অবজারভেটরিতে প্রথম বার কয়েকশো কোটি বছর আগে ব্রহ্মাণ্ডের দূরপ্রান্তে দুটি ব্ল্যাক হোলের মধ্যে ভয়ঙ্কর সংঘর্ষের বার্তা ধরা পড়ে। ব্ল‍্যাক হোল দুটির সেই সংঘর্ষে দুটি ব্ল‍্যাক মিলে একটি ব্ল‍্যাক হোলে পরিণত হয়। যা মহাকর্ষীয় বয়ে তরঙ্গ বিশ্লেষন করে জানা যায়। এবার হকিং-য়ের তথ‍্য পরীক্ষামূলকভাবে প্রমাণ করলো ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)-র বিজ্ঞানীরা। 


গবেষকরা জানাচ্ছেন, সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট ব্ল‍্যাক হোলটি দু’টি ব্ল্যাক হোলের চেয়ে বড়। এতেই প্রমাণ হল, ৫০ বছর আগে হকিংয়ের তত্ত্ব।