কৃত্রিম উপায়ে ডিম থেকে ছানা তৈরি করে তাক লাগালেন মাধ্যমিক পাস যুবক

কৃত্রিম উপায়ে ডিম থেকে ছানা তৈরি করে তাক লাগালেন মাধ্যমিক পাস যুবক



ধূপগুড়ি,জয়ন্ত বর্মণ :: ধূপগুড়ি ব্লকের বারঘরিয়া এলাকার কৃষক পরিবারের সন্তান কামনা রায়।কোনরকমে মাধ্যমিক পাস করেছে।দীর্ঘদিন যোগাযোগ নেই পড়াশোনার সঙ্গে। তবে ছোট থেকেই যন্ত্রপাতি দিয়ে নতুন কিছু তৈরি করার তাগিদ ছিল। বর্তমানে ইউটিউব দেখে নিজেই বানিয়ে ফেলেছেন কৃত্তিম উপায়ে ডিম থেকে ছানা ফুটানোর যন্ত্র। যান্ত্রিক ভাষায় যাকে বলে ইনকিউবেটর।নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই প্রায় ৩০০ টি হাঁস ও ১০ টি মুরগির  ছানাও ফুটিয়েছে। 

যন্ত্রটি তৈরি করতে সাধারণ ফেলে দেওয়া জিনিস ব্যবহার করতে দেখা গেছে। ফেলে দেওয়া থার্মোকলের মাছের বাক্স , কংক্রিটের রিং, ভাঙাচোরা কাঠের টুকরো, বালপ, তাপ মাপার যন্ত্র, সমেত অন্যান্য কিছু যন্ত্রপাতি। সেটার ও হেচারের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে ডিম থেকে বাচ্চা। 

২৭ দিনের মধ্যে হাঁসের ডিম থেকে ছানা তৈরি হয়। আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে কয়েকটি ডিম নষ্ট হয়েছে বলেও জানিয়েছেন কামনা রায়। পরবর্তী সময়ে ম্যানুয়াল এর পরিবর্তে অটোমেটিক যন্ত্র তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে।

যন্ত্রটি তৈরি করতে ওই যুবকের খরচ হয়েছে প্রায় ৯০০০ টাকা। বাইরে থেকে কোন কোম্পানির ইনকিউবেটর কিনতে হলে তার দাম রয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। কম সময়ে এবং এত কম টাকায় ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে যন্ত্রটি তৈরি করে ইতিমধ্যে সাড়া ফেলেছেন ওই যুবক। এমনকি আর্থিক দিক থেকেও স্বাবলম্বী হচ্ছে ওই কামনা রায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ