ইনসাইট পার্টনার্স ও টাইগার গ্লোবাল থেকে ৪১৬১ কোটি টাকা মূল্যায়নে সিরিজ বি ফান্ডিং-এ ৫১১ কোটি টাকা পেল Apna 


● ভারতের সবচেয়ে বড় দেশি পেশাগত নেটওয়ার্কিং ও চাকরির প্ল্যাটফর্ম Apna (আপনা) গত ১২ মাসে ৫০ গুণ বেড়েছে, এই মুহূর্তে ১০ মিলিয়নের বেশি চাকরি প্রার্থী এবং ১০০,০০০-এর বেশি নিয়োগকর্তা এই প্ল্যাটফর্মের উপর ভরসা করেন

● এই বিনিয়োগ Apna (আপনা) কে আরো নতুন প্রোডাক্ট তৈরি করার, এই শ্রেণির সেরা টেক প্রতিভাদের নিয়োগ করার এবং নতুন নতুন এলাকায় কাজকর্ম ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ দেবে




ব্যাঙ্গালোর, ১৬ই জুন, ২০২১: ভারতের ক্রমবর্ধমান শ্রমিক শ্রেণির জন্য বাজারের অগ্রগণ্য পেশাগত নেটওয়ার্কিং ও চাকরির প্ল্যাটফর্ম Apna (আপনা) সিরিজ বি রাউন্ডে ৫১১ কোটি টাকা পেয়েছে, যেখানে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল ইনসাইট পার্টনার্স আর টাইগার গ্লোবাল। এই রাউন্ডে অপনার বর্তমান বিনিয়োগকারী সেকোইয়া ক্যাপিটাল ইন্ডিয়া, লাইটস্পিড ইন্ডিয়া, গ্রীনওকস ক্যাপিটাল ও রকেটশিপ ভিসি-ও অংশগ্রহণ করেছে। এই বিনিয়োগ বাজারে Apna (আপনা) প্রশ্নাতীত আধিপত্য এবং ব্যবসার দৃষ্টান্তমূলক বৃদ্ধিতে সিলমোহর লাগিয়ে দিল। এই বিনিয়োগ সমেত Apna (আপনা) ৬৫৭ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ পেল এবং এখন, প্রোডাক্ট লঞ্চের ১৬ মাসের মধ্যেই, তার মূল্য ৪১৬১ কোটি টাকার বেশি।



Apna (আপনা) এই টাকা ব্যবহার করবে আগামী ৬ মাসে যেসব শহরে তার উপস্থিতি আছে সেখানে অবস্থান আরও জোরদার করতে এবং সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়তে। কোভিড-১৯-এর প্রকোপ কাটিয়ে ওঠার এই সময়ে ভারতের অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। Apna (আপনা) টিমের তাদের প্রশিক্ষণের জন্য তৈরি এডটেক প্ল্যাটফর্মের শক্তি দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা আছে। ব্যতিক্রমী প্রতিভাদের নিয়োগ করে এবং বিশ্বমানের ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রোডাক্ট ক্ষমতা তৈরি করে তারা এই কাজ করতে চায়। এছাড়াও Apna (আপনা) আগামী বছর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত উচ্চ সম্ভাবনার বাজারে কাজ ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছা আছে।





নির্মিত পারিখ, ফাউন্ডার অ্যান্ড সিইও, Apna (আপনা) বললেন “আপনাতে আমরা কয়েক কোটি লোকের কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণের চ্যালেঞ্জের সমাধান করার ব্যাপারে একটা তাজা পথ নিতে বদ্ধপরিকর। গত এক মাসেই আপনা ১৫ মিলিয়নের বেশি চাকরির ইন্টারভিউ এবং কাজ সংক্রান্ত কথাবার্তার ব্যবস্থা করেছে, যেখানে ব্যবহারকারীরা একে অপরকে একটা ব্যবসা শুরু করতে, অল্প মেয়াদের কাজ খুঁজে নিতে বা একটা নতুন দক্ষতা আয়ত্ত করতে সাহায্য করেছে। আমরা এখনও সমস্যা সমাধানের প্রথম দিকে রয়েছি এবং আমাদের নতুন সঙ্গীদের সহায়তায় এই যাত্রা জারি রাখতে পেরে উল্লসিত।”

২০১৯-এ প্রতিষ্ঠিত Apna (আপনা) মানুষকে সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে। গোষ্ঠীগুলোর ক্ষমতাকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে প্রযুক্তিনির্ভর কার্যপদ্ধতি উন্নততর চাকরি ও উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগকে Apna (আপনা) কয়েক লক্ষ ইউজারের নাগালের মধ্যে এনে দিয়েছে। এটা এই অতিমারীর বছরে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ কিছুদিন অন্তর লকডাউনের ফলে শ্রমের বাজার ব্যাপকভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। আপনাতে নেটওয়ার্কিং করা শিবম সিং-এর জীবনের দিক বদলে দিয়েছে। তিনি ভারতের একটা ছোট শহরের একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী গ্রাফিক ডিজাইনার, যিনি অতিমারীর মধ্যে চাকরি খুইয়েছিলেন। তিনি Apna (আপনা) অ্যাপে সফল ব্যবসা গড়ে তোলার জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ এবং ক্রেতাদের পান। আজ তিনি অগুনতি উচ্চাকাঙ্ক্ষী উদ্যোগী ও ডিজাইনারদের অনুপ্রেরণা। প্রতি মাসে Apna (আপনা) দ্বারা এমন কয়েক লক্ষ জীবন বদলে যায়, কারণ Apna (আপনা) শেষ পর্যন্ত একটা কিছু করার উপর জোর দেয়।

আজ এই অ্যাপে কাঠের মিস্ত্রি, রঙের মিস্ত্রি, ফিল্ড সেলস এজেন্টের মত আরও অনেক দক্ষ পেশাদারদের কাজের ৬০+ কর্মীগোষ্ঠী রয়েছে। এই অ্যাপ ব্যবহারকারীদের স্থানীয় চাকরির খবর পাওয়া, পেশার অন্যদের সাথে নেটওয়ার্কিং, ইন্টারভিউ অভ্যাস করা, নিজেদের কীর্তি শেয়ার করা এবং নতুন দক্ষতা অর্জন করার সুযোগ দেয়।

মাত্র এক বছরের মধ্যেই Apna (আপনা) ভারতীয় পেশাদারদের এক নম্বর পছন্দের অ্যাপ হয়ে উঠেছে। আপনা লঞ্চের পর থেকে অসাধারণ গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১০ মিলিয়নের বেশি ব্যবহারকারী এবং ১০০,০০০-এর বেশি নিয়োগকর্তা Apna (আপনা) উপর নির্ভর করেছেন যথাক্রমে উপযুক্ত চাকরির সুযোগ এবং প্রতিভা খুঁজে নেওয়ার জন্য। গত তিন মাসে Apna (আপনা) তাদের উপস্থিতির ভারতীয় শহরের সংখ্যা দ্বিগুণ করে ১৪টাতে পৌঁছেছে। এই বৃদ্ধির ফলে এই ক্ষেত্রে Apna (আপনা) এক লহমায় চ্যালেঞ্জার থেকে বাজারের নেতায় পরিণত হয়েছে। উবের, বিসিজি এবং সুইগির মত সংস্থা থেকে সর্বোচ্চ মানের বিশ্বব্যাপী এবং স্থানীয় প্রতিভাকেও টেনে নিয়েছে।

নিখিল সচদেব, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ইনসাইট পার্টনার্স বললেন “আমরা গত এক বছরে আপনার দৃষ্টান্তমূলক বৃদ্ধি দেখে দারুণ সন্তুষ্ট। ওরা ভারতের কর্মীবাহিনীর জন্য ডিজিটাল পেশাদার পরিচিতি তৈরি করা, নেটওয়ার্কিং, বিভিন্ন রকম দক্ষতার প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং উচ্চমানের চাকরি খুঁজে পাওয়ার জন্য বাজারের সেরা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। নিয়োগকর্তারা কম ঝামেলায় উচ্চমানের প্রতিভা খুঁজে নিতে দ্রুত গতিতে Apna (আপনা) সাথে যোগাযোগ করছেন। ফলে Apna (আপনা) শ্রেণির সেরা ক্রেতা সন্তুষ্টি স্কোরও পাচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস আমাদের বিনিয়োগ Apna (আপনা) তাদের অতি দ্রুত বৃদ্ধি বজায় রাখতে, কাজকর্ম আরও বাড়াতে এবং আরো বেশি কাজের সুযোগ ভারতের কর্মীবাহিনীর নাগালে নিয়ে আসতে সাহায্য করবে।”

সারা বিশ্বে বর্তমান একটা সমস্যার সমাধানে Apna (আপনা) প্রোডাক্ট-প্রধান মনোভাব তার বৃদ্ধির অপরিসীম সম্ভাবনা তৈরি করেছে। গ্রিফিন শ্রোয়ডার, পার্টনার, টাইগার গ্লোবাল, বললেন “চাকরি খুঁজে পাওয়া, আবেদন করা এবং নিয়োগকর্তা আর প্রার্থীর যোগাযোগের প্রক্রিয়াটাকে ডিজিটাইজ করে ফেলার উপর Apna (আপনা) যে জোর দিয়েছে, তা নিয়োগ করার পদ্ধতিতে বিপ্লব ঘটাতে পারে। Apna (আপনা) অ্যাপ কর্মীদের পেশাদার নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে এবং নিজেদের দক্ষতা বাড়াতেও সাহায্য করে। Apna (আপনা) যখন ভারতের এবং বিদেশের নতুন বাজারে ছড়িয়ে পড়তে চাইছে, সেইসময় এই টিমের সঙ্গী হয়ে আমরা আনন্দিত।”

Apna (আপনা) নিপুণ ডেটা সাইন্স প্রধান অ্যালগোরিদম প্রার্থীদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিচার করে তাদের নিয়োগকর্তাদের সাথে ম্যাচ করে। এর ফলে নিয়োগকর্তা ও নিয়োগ পরীক্ষকদের বিশ্বাস, রেলেভ্যান্সি আর ক্যান্ডিডেট ভলিউম নিয়ে কোন ভাবনা থাকে না। জোম্যাটো, বার্গার কিং, ভারতী-অ্যাক্সা, ডেলহিভারি, টিমলিজ, G4S গ্লোবাল, শ্যাডোফ্যাক্স ও 1M G-র মত ভারতের বহু অগ্রগণ্য কোম্পানি তাদের সবচেয়ে জরুরি এবং জটিল নিয়োগের প্রয়োজন মেটাতে আপনার উপরেই ভরসা করেন। এছাড়াও Apna (আপনা) ভারতের কিছু প্রথম সারির সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনের সাথে কাজ করেছে। Apna (আপনা) ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন, ইউনিসেফ য়ুবা এবং ভারতের সংখ্যাঘু বিষয়ক মন্ত্রককে প্রার্থীদের আরো ভাল প্রশিক্ষণ ও চাকরির সুযোগ দেওয়ার কাজে সাহায্য করছে।



Apna (আপনা) সম্বন্ধে:

২০১৯-এ প্রতিষ্ঠিত আপনা.কো হল ভারতের ক্রমবর্ধমান শ্রমিক শ্রেণিকে পেশাদার নেটওয়ার্কিং করা ও নতুন দক্ষতা অর্জন করার সুযোগ দেওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম। এই অ্যাপ এই মুহূর্তে ১৪টা শহরে চালু মুম্বাই, দিল্লী-এন সি আর, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, পুনে, আমেদাবাদ, জয়পুর, রাঁচি, কলকাতা, সুরাট, লখনৌ, কানপুর, লুধিয়ানা ও চন্ডীগড়।



ইনসাইট পার্টনার্স, টাইগার গ্লোবাল, লাইটস্পিড ইন্ডিয়া, সেকুইয়া ক্যাপিটাল ইন্ডিয়া, রকেটশিপ ভিসি আর গ্রীনওকস ক্যাপিটালের মত মার্কি বিনিয়োগকারীদের থেকে ৬৫৭ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ পেয়ে আপনা উদ্দেশ্য হল ভারতের কয়েক কোটি মানুষের জীবিকার ব্যবস্থা করা। ১০ মিলিয়নের বেশি ব্যবহারকারী, ১৪টা শহরে উপস্থিতি যা আরও বাড়বে, এবং ১০০,০০০ নিয়োগকারী এই প্ল্যাটফর্মকে বিশ্বাস করেন। ফলে এই প্ল্যাটফর্ম উপযুক্ত সুযোগ খুঁজে পাওয়ার জন্য ভারতের নতুন গন্তব্য।





ইনসাইট পার্টনার্স সম্বন্ধে:

ইনসাইট পার্টনার্স হল এক অগ্রগণ্য বিশ্বব্যাপী ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও প্রাইভেট ইকুইটি সংস্থা যারা এমন উচ্চ বৃদ্ধির প্রযুক্তি ও সফটওয়্যার স্কেল-আপ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে, যে কোম্পানি নিজের শিল্পক্ষেত্রে রূপান্তরধর্মী বদল ঘটাচ্ছে। ১৯৯৫-তে প্রতিষ্ঠিত ইনসাইট পার্টনার্স সারা পৃথিবীর ৪০০-র বেশি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছে এবং সারি সারি ফান্ডের মধ্যে দিয়ে ক্যাপিটাল কমিটমেন্ট হিসাবে ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি টাকা তুলেছে। ইনসাইটের উদ্দেশ্য হল দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এক্সিকিউটিভদের খুঁজে বার করে তাদের সাথে সফলভাবে কাজ করা, তাদের দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের জন্য বাস্তবধর্মী, হাতে কলমে কাজ করার সফটওয়্যারের পারদর্শিতা তৈরি করা। নিজের সমস্ত কর্মী এবং সমস্ত পোর্টফোলিওর মধ্যে ইনসাইট একটা বিশ্বাসকে উৎসাহ দেয়, তা হল স্কেল-আপ কোম্পানিগুলো এবং বৃদ্ধি সকলের জন্য সুযোগ তৈরি করে। ইনসাইট এবং তার সমস্ত বিনিয়োগ সম্বন্ধে আরও জানতে আসুন insightpartners.com টুইটারে আমাদের ফলো করুন @insightpartners.



টাইগার গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট সম্বন্ধে:

টাইগার গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট, এল এল সি হল একটা ইনভেস্টমেন্ট ফার্ম, যা সারা পৃথিবীতে পুঁজি বিনিয়োগ করে। এই সংস্থার মৌলিক বিনিয়োগ প্রাথমিকভাবে করা হয় বিশ্বজোড়া ইন্টারনেট, সফটওয়্যার, আর্থিক প্রযুক্তি, কনজিউমার ও শিল্পক্ষেত্রগুলোতে। সংস্থার প্রাইভেট ইকুইটি স্ট্র্যাটেজিতে দশ বছরের বিনিয়োগ পরিকল্পনা রয়েছে এবং এর লক্ষ্য হল বৃদ্ধিকেন্দ্রিক বেসরকারি কোম্পানিগুলো। এরকম বিনিয়োগ করা কোম্পানির মধ্যে আছে স্পটিফাই, হ্যারি’জ, ওয়ার্বি পার্কার, পেলোটোন, জে ডি.কম, ফেসবুক, লিঙ্কডইন, ইয়্যানডেক্স, মেইল.রু গ্রুপ, ডেসপেগার, ওলা এবং ফ্লিপকার্ট। পাবলিক ইকুইটি উদ্যোগগুলো আলাদা আলাদা কোম্পানিগুলোর ব্যাপারে এবং সেকুলার থিমে গভীর মনোনিবেশ করার উপরে জোর দেয়। টাইগার গ্লোবাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২০০১ সালে এবং মূল অফিস নিউ ইয়র্ক শহরে। শাখা অফিস আছে হংকং, সিঙ্গাপুর, বেঙ্গালুরু ও মেলবোর্নে।