হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের জন্য নয়া নির্দেশিকা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের 




করোনার দাপটে বিপর্যস্ত দেশ। একের পর এক বাড়ছে সংক্রমণ বাড়ছে মৃত‍্যুর সংখ‍্যা। এমন পরিস্থিতিতে সামান্য বা উপসর্গহীন কোভিড রোগীদের জন্য হোম আইসোলেশনের নয়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।




নির্দেশিকায় বলা হয়েছে- 

  • কোভিড আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে থাকলে পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে হবে রোগীকে। নির্দিষ্ট ঘরে থাকতে হবে। বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিক ও কোমর্বিডিটি রয়েছে এরকম পরিবারের সদস্যদের থেকে দূরে থাকতে হবে। কারও কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ, হাইপারটেনশন ছাড়াও রেনাল ডিজিজ থাকলে তাদের থেকে দূরত্ব বাজায় রাখুন।

  • হোম আইসোলেশনে থাকাকালীন রোগীকে সর্বদা ত্রিস্তরীয় মেডিক্যাল মাস্ক পরে থাকতে হবে। প্রতি ৮ ঘণ্টা অন্তর বা তার আগে ভিজে গেলে এই মাস্ক বদলে ফেলতে হবে রোগীকে। 'কেয়ার গিভার' রোগীর ঘরে প্রবেশের আগেই দুজনকেই এন৯৫ মাস্ক পরতে হবে।

  • রোগীকে হোম আইসোলেশনের সময় অবশ্যই আলো-বাতাস থাকা ঘরে দরজা জানালা খোলা রেখে থাকতে হবে। 

  • রোগীদের মাস্ক বাতিল করার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। পরা মাস্ক ফেলে দেওয়ার আগে ১ শতাংশ সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট দিয়ে তাকে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

  • কোনও ধরনের শারীরিক সমস্যা তৈরি হলে সঙ্গে সঙ্গে 'ট্রিটিং ফিজিশিয়ান'-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।

  • করোনা হওয়ার আগে কোনও রোগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেই রোগের ঔষধ চালিয়ে যেতে হবে।

  • উপসর্গ যেমন জ্বর, সর্দি, কাশি দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।

  • নিয়ম করে দিনে ২ বার গরম জলে গার্গেল ও উষ্ণ গরম জলে ভাপ নেওয়াটা বাধ্যতামূলক।

  • দিনে চারবার ৬৫০এমজি প্যারাসিটামল খেয়েও জ্বর না কমলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পরবর্তিত ঔষধ দেবে। 

  • ৩-৫ দিন খালি পেটে ইভারমেকটিন ২০০এমসিজি নিতে হবে রোগীকে।

  • কোনওভাবে ৫ দিন পর রোগীর জ্বর-কাশি না কমলে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। সেক্ষেত্রে ইনহ্যালেশনাল বুডেসনাইড ৮০০এমসিজি দিনে দুবার করে ইনহেলারের মাধ্যমে ৫-৭ দিন রোগীকে নিতে হবে। এসবই হবে ডাক্তারের পরামর্শে।

  • কোনওভাবেই হোম আইসোলেশনে থাকাকালীন রেমডেসিভির নিতে মানা করা হয়েছে। এই ওষুধ নিতে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে কোনও হাসপাতালে নিতে হবে।

  • সামান্য কোভিডের ক্ষেত্রে স্টেরয়েড নেওয়া একদমই উচিত নয়। তবে জ্বর বা কাশি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে বা ৭দিনেও না কমলে কম মাত্রার ওরাল স্টেরয়েড নেওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই কাজ করবেন না।

  • অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে গেলে রোগীকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। ট্রিটিং ফিজিশায়িনের তত্বাবধানে এই কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।




কাদের ধরা হবে উপসর্গহীন মাইল্ড কেস ?

  • যাদের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ অথচ উপসর্গ নেই তারাই এই মাইল্ড কেসের মধ্যে পড়বে। 

  • এই রোগীদের ঘরের পরিবেশে অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল ৯৪ শতাংশের বেশি থাকতে হবে। 

  • রোগীর জ্বর বা শ্বাসকষ্ট নেই, এমনকী ঘরের তাপমাত্রায় অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল ৯৪ শতাংশের বেশি তাদেরও মাইল্ড কোভিড রোগী ধরা হবে।