গ্রামাঞ্চলের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি রুখতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা কেন্দ্রের
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত দেশ। সংক্রমণ যেমন চলছে তেমন চলছে মৃত্যু মিছিল। আতঙ্কে মানুষ। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কড়া বিধি নিষেধ জারি হয়েছে ফিরে এসেছে গত বছরের স্মৃতি। করোনায় বেসামাল দেশে শহর নয় গ্রামেও বাড়ছে সংক্রমণ। রীতিমতো গ্রাম্য জনগোষ্ঠীতেও সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী প্রাণহানির ঘটনাও উঠে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফে গ্রামীণ এলাকায় করোনা সংক্রমণের রেশ ঠেকাতে একগুচ্ছ নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
গ্রামীন এলাকার করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে টেস্টের সংখ্যা বৃদ্ধি, সংক্রমণের গুরুত্ব বুঝে অ্যান্টিজেন টেস্ট, প্রয়োজনীয় কিট, অক্সিজেন স্যাচুরেশন, এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শহরের মতো গ্রামের ক্ষেত্রেও করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর হোম আইসোলেশনে থাকলে মানতে হবে কোভিড প্রোটোকল। বাড়িতেও পড়তে হবে মাস্ক।সবসময় ৬ ফুটের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি। শুধু তাই নয় ১৪ দিন পরেও ফের করোনা টেস্ট করা একান্ত আবশ্যক। কমিউনিটি হেলথ অফিসারের মাধ্যমে গ্রামীণ অঞ্চলের করোনা পরিস্থিতির যাবতীয় রিপোর্ট সরকারি স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে নিয়মিত পেশ করা জরুরি বলেও জানানো হয়েছে।
দেশের ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকে একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে-
- উচ্চ পজিটিভিটি যুক্ত রাজ্যগুলিকে আক্রান্তের সঠিক সংখ্যা রিপোর্টের নির্দেশ। অর্থাৎ করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা না লুকানোর নির্দেশ।
- গ্রামীণ অঞ্চলে মেডিকেল অক্সিজেন বণ্টন, প্রয়োজনে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরামর্শ।
- আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ক্ষমতায়নের নির্দেশ।
- পজিটিভিটি যুক্ত জেলাগুলিতে করোনা পরীক্ষা করার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ।
- ভেন্টিলেটর সব রাজ্য ব্যবহার করছে কি না, সেই বিষয়ে জানতে অডিট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊