মাছবাজারে প্রভাব পড়ল গঙ্গা দূষণের- ভয়ে কিনছেন না মাছ 





জলপাইগুড়ির মাছবাজারে প্রভাব পড়ল গঙ্গা দূষণের৷ দু দিন আগেও যে বিহারের রুই কাতল কিংবা গঙ্গারামপুরের বিভিন্ন মাছ কেনার জন্য আগেভাগে দোকানে ছুটতেন শহরবাসী, কয়েকদিন ধরে সেই ছবিটা পালটে গিয়েছে। মাছ বাজার ঘুরে দেখলে মনে হতে পারে, বড় মাছে যেন 'আলার্জি' ধরেছে শহরবাসীর। যত ভীড় সব গিয়ে পড়েছে লোকাল কাটাপোনা কিংবা পুকুরের মাছের দোকানে।


আসলে বিষয়টা বড় মাছ, ছোটো মাছের নয়। নদীর মাছে হঠাত ভয় ধরেছে শহরবাসীর। তার একমাত্র কারণ, গঙ্গা দূষণ। গঙ্গায় দেহ ভেসে আসায় তার জল খেতে বারণ করা হচ্ছে। স্বাভাবিক কারণেই মাছের উপরো পড়েছে সন্দেহের কোপ। যার জেরে গঙ্গার মাছ দেখলেই পিছিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা। গঙ্গার জলে দেহ ভেসে আসাতেই এই আতঙক। যা স্পর্শ করেছে জলপাইগুড়ির বাজারকেও। 

বাইরের মাছ বিক্রি করা যেন একপ্রকার অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে মাছ বিক্রেতাদের কাছে। কিছুতেই বুঝিয়ে সুঝিয়েও বিক্রি হচ্ছে না বড় নদীর মাছ। যার জেরে সমস্যার মুখে মাছ ব্যবসায়ীরা। একদিকে, লকডাউনের বাধা সময় তার ওপর ক্রেতাদের অরুচি- এই দুইয়ে নাজেহাল বড় মাছ ব্যবসায়ীরা।

অন্যদিকে, ছোটো মাছের দোকানিরা লাভবান হচ্ছেন। লোকাল কাটাপোনা, কিংবা জ্যন্ত মাছ দামী হলেও বিকোচ্ছে ভালোই করোনার ঠেলায়।