করোনা ঠেকাতে ‘টিকা উৎসব’ পালনের আবেদন প্রধানমন্ত্রী মোদীর



করোনা ঠেকাতে ‘টিকা উৎসব’ পালনের আবেদন প্রধানমন্ত্রী মোদীর 


দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ!এবার ১১ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ‘টিকা উৎসব’ পালন করার আবেদন প্রধানমন্ত্রীর।


বাড়ছে করোনা সংক্রমণ; প্রতিদিন নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাটা পেরিয়ে গিয়েছে সওয়া এক লক্ষ। যা কিনা গত বছর যে সময় দেশের করোনা সংক্রমণের পরিমাণ একেবারে চরমে ছিল তার থেকেও অনেকটা বেশি। এই নিয়ে গত চারদিনের মধ্যে তিনদিন দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষাধিক। এই পরিসংখ্যান ভয় ধরানোর জন্য যথেষ্ট।


করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ এর কবলে প্রায় রোজই রেকর্ড সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার চিন্তার ভাঁজ ফেলছে প্রশাসনের কপালে। এহেন পরিস্থিতি ভ্যাকসিনকে হাতিয়ার করে এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার ১১ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ‘টিকা উৎসব’ পালন করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।


প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার দেশে বেড়ে চলা করোনা সংক্রমণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকে বসেন।


সেখানে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে করোনা সংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্য রয়েছে। যে কোনও ভাবে আমাদের মৃত্যুর হার কম রাখতে হবে। আবার কঠিন সময় আসছে। আমাদের সতর্কতায় ঢিলেমি করলে চলবে না।” সম্পূর্ণ লকডাউনের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন’ তৈরির উপর জোর দিয়েছেন। এছাড়া, নাইট কারফিউয়ের বদলে ‘করোনা কারফিউ’ শব্দবন্ধ ব্যবহারের আরজি জানান তিনি।


এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাত ৯টা বা ১০টা থেকে সকাল ৫টা অথবা ৬টা পর্যন্ত নাইট কারফিউয়ের সময় হওয়া উচিত। সংক্রমণ রুখতে কনট্যাক্ট ট্রেসিং করা উচিত। মহারাষ্ট্র, গুজরাট, পাঞ্জাব ও ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যগুলি করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণের প্রাথমিক ঢেউ দেখেছে।তাই মানুষের মধ্যে কিছুটা গাফিলতি দেখা যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে প্রশাসনের মধ্যে ঢিলেমি দেখা যাচ্ছে। এমনটা করলে চলবে না।”

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ