করোনার হাত থেকে বাঁচতে অক্সিজেন মজুত ঘরে!





প্রতিনিধি সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান :- 


খাদ্য সামগ্রী নয়। করোনার হাত থেকে বাঁচতে ঘড়ে মজুত রাখা হচ্ছে অক্সিজেন সিলিন্ডার। আর এর ফলেই আগামী দিনে দেখা দিতে পারে অক্সিজেনের অভাব। এমটাই দাবি করছেন অক্সিজেন সরবরাহ কারিরা। 



দেশে ফের ভয়াবহ আকার নিতে চলেছে দ্বিতীয় ফেজের করোনা। দিন দিন যে ভাবে দেশে,রাজ্যে,এবং জেলায় জেলায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা তাতে মাথায় হাত দেশ বাসির।আর এই করোনার শ্বাস কষ্ট থেকে মুক্ত পেতে খাদ্য সামগ্রীর মতো কিছু কিছু গৃহস্থালিরা বাড়িতে মজুত করে রাখছেন অক্সিজেন সিলিন্ডার। এর ফলে আগামী দিনে অক্সিজেন সিলিন্ডার অভাব দেখা দিতে পারে বলে দাবী করেন বর্ধমানের অক্সিজেন সরবরাহ কারিরা । শুধু তাইই নয় এই প্যান্ডামিকের মধ্যে অক্সিজেনের কালোবাজারি করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এবিষয়ে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবী জানান তারা।



বর্ধমানের অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থা ইণ্ডিয়া অক্সিজেন গ্যাসের কর্ণধার বিজয় কুমার মিশ্র বলেন অক্সিজেন গ্যাসের কোনো অভাব নেই তবে সিলিন্ডারের অভাব আছে । আতঙ্কে পরে মানুষ অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে রাখছে।ফলে বাজারে অক্সিজেন সিলিন্ডার দাম বাড়ছে।এর পাশাপাশি বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এর কালো বাজারি করছে।বিজয় মিশ্র বলেন, ডাক্তার প্রেসক্রিপশন ছাড়া বাড়িতে অক্সিজেন মজুত রাখা যায়না।তা সত্বেও প্যানিকে পরে মানুষ অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত করছে। তবে  অতিদ্রুত জেলা প্রশাসনকে নজর দেওয়ার দাবি জানান মিশ্র।


প্রগ্ৰেসিভ নার্সিংহোম এন্ড হাসপাতাল এসোসিয়েশন রাজ্য চেয়ারম্যান সেখ আলাউদ্দিন বলেন বাড়িতে অক্সিজেন মজুত রাখার কোনো নিয়ম নেই । যদি কোনো ব্যবসায়ী বাড়িতে অক্সিজেন মজুত রাখার জন্য কাউকে দিয়ে থাকে তাহলে তারা আইনত অপরাধ করেছে।নিয়ম অনুযায়ী হেল্থ সেন্টার ছাড়া অন্য কোথায় অক্সিজেন দিতে পারে না। আরো বলেন সবার বাড়িতে অক্সিজেন স্যাচুলেশন নেই। ফেলে রোগীকে অক্সিজেন দের পরিমান সঠিক না থাকলে অক্সিজেন বেশি পরিমানে দিলে সেক্ষেত্রে রোগী মারা যেতে পারে।