জীবনের সঙ্কট মোচনের জন্য পবনপুত্র হনুমানের পূজা কীভাবে দেবেন? জানেন কি?
হনুমান জয়ন্তী এই বছর উদযাপিত হবে ২৭ এপ্রিল, অর্থাৎ আজ। দক্ষিণ ভারতে আলাদা তিথিতে উদযাপিত হয় হনুমান জয়ন্তী। উত্তর ভারত চৈত্র মাসটিকে হনুমানের জন্মমাস হিসেবে নির্দেশ করেছে। হনুমান চৈত্র মাসের পুণ্য পূর্ণিমা তিথিতে মাতা অঞ্জনার কোল আলো করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
তবে রামায়ণ এবং নানা পুরাণ কথায় জানা যায়, লঙ্কার রাক্ষসরাজা রাবণকে বধ করার জন্য বিষ্ণু যখন অযোধ্যায় রামাবতার রূপে জন্মের সঙ্কল্প নেন, তখন দেবতারাও দলে দলে তাঁকে সাহায্য করার জন্য পৃথিবীতে অবতার গ্রহণের সঙ্কল্প নেন। সেই মতো তাঁদের গর্ভে ধারণ করার জন্য অপ্সরারা পৃথিবীতে বানর এবং ভল্লুক কুলে জন্মগ্রহণ করতে শুরু করেন।
যারা জন্মগ্রহণ করেন এঁদের মধ্যে এক অপ্সরার নাম ছিল পুঞ্জিকাস্থলা, তিনি বানরকুলে অঞ্জনা নামে জন্মগ্রহণ করেন। কোনও কোনও পুরাণ মতে এই রূপবতী অঞ্জনাকে দেখে মুগ্ধ হন পবনদেব, তিনি সুকৌশলে তাঁর বস্ত্র উড়িয়ে নিয়ে যান। অঞ্জনা ভয় পেয়ে গেলে তাঁকে দর্শন দিয়ে অভয় দেন পবনদেব এবং উভয়ের মিলনে হনুমানের জন্ম হয়।
হনুমান জয়ন্তীতে ভক্তেরা সর্ষের তেল দিয়ে হনুমানের মূর্তির অভিষেক করেন, শৃঙ্গার করেন কমলা রঙের সিঁদুর দিয়ে। এই অভিষেক এবং শৃঙ্গার শেষ হলে ফুল, মালা অর্পণ করতে হয় বজরঙ্গবলীকে, তাঁর সামনে জ্বালাতে হয় তেলের বা ঘিয়ের প্রদীপ। সব শেষে তাঁর পাদদেশ থেকে নিয়ে কমলা সিঁদুরের তিলক পরতে হয় নিজের কপালে।
শাস্ত্রমতে, হনুমানের জন্ম হয়েছিল পূর্ণিমা তিথিতে। ২৬ এপ্রিল দুপুর ১২টা ৪৪ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে পূর্ণিমা, থাকবে ২৭ এপ্রিল সকাল ৯টা ০১ মিনিট পর্যন্ত। হনুমান জয়ন্তী উদযাপন করতে ২৭ এপ্রিল তারিখে, ৯টা ০১ মিনিটের মধ্যেই পূজা দিতে হবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊