‘বন বাঁচান, বন্যপ্রাণ বাঁচান’ - আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণ দিবস World Wildlife Day



আজ ৩রা মার্চ সারা বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক বন্যপ্রান দিবস। গাছপালা এবং পশুপাখিদের বিষয়ে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে আজকের এই দিনে। রাষ্ট্রপুঞ্জের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘বিশ্ব বন্যপ্রাণ দিবস একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান হলেও, বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ এমন একটি বিষয়, যা নিয়ে প্রতিদিন আমাদের সচেতন থাকা উচিত।’



এই দিনে, ১৯৭৩ সালে বিপন্ন প্রজাতির বিপন্ন প্রজাতিগুলির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কিত কনভেনশন (সিআইটিইএস) স্বাক্ষরিত হয়েছিল। .২০ ডিসেম্বর, ২০১৩-তে ৬৮ তম জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন (ইউএনজিএ) ঘোষণা করেছে যে এই দিবসটি পালিত হবে বন্যজীবন দিবস হিসেবে। থাইল্যান্ড এই প্রস্তাব করেছিল।




এ বছর, জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণ দিবসে বিশ্ব বন্যপ্রাণ দিবসের থিম হিসেবে ‘জঙ্গল ও জীবিকা: মানুষ ও গাছ বাঁচানো’-কে তুলে ধরা হয়েছে। মানুষের জীবন ও জীবিকার ক্ষেত্রে জঙ্গল ও বাস্তুতন্ত্র কতটা গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনও জায়গার আদি বাসিন্দাদের সঙ্গে জঙ্গলের যোগের বিষয়টির উপর সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। সম্পদ ঠিকমতো কাজে লাগিয়ে দারিদ্র্য দূর করাই রাষ্ট্রপুঞ্জের লক্ষ্য। বিশ্বজুড়ে ২০ থেকে ৩৫ কোটি মানুষ জঙ্গল বা জঙ্গলের কাছাকাছি কোনও জায়গা বাস করেন। জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে যাওয়া, স্বাস্থ্য সহ বিভিন্ন কারণে জঙ্গলের উপর যাঁদের জীবন ও জীবিকা নির্ভরশীল, তাঁরা বিপন্ন। সেই কারণেই এবার জঙ্গলের পাশাপাশি জঙ্গলের মানুষ বাঁচানোর উপরেও জোর দিচ্ছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। এবছরের থিমে তাই বোঝানো হয়েছে।



UN has announced the theme as “Forests and Livelihoods: Sustaining People and Planet.”


আজকের দিনে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে বন্যপ্রান রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইট, ‘সিংহ, বাঘ হোক বা চিতাবাঘ, ভারতে বিভিন্ন পশুর সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের জঙ্গল সংরক্ষণ এবং বন্যপ্রাণীদের বাসস্থান নিরাপদ করে তোলার জন্য আমাদের সবরকম চেষ্টা করতে হবে।’