মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হতে পারে আশঙ্কায় রাজ্যপালের দ্বারস্থ শুভেন্দু 






ধীরে ধীরে নিজেকে তৃণমূল থেকে নিজেকে সড়িয়ে নিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। বেশ কিছুদিন চলছে গুঞ্জন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিতে চলেছেন শুভেন্দু! সেই জল্পনাকে পোক্ত হচ্ছে বারে বারে। মন্ত্রিত্ব থেকে শুরু বিধায়ক সব পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফা ঘিরে উথালপাথাল বঙ্গ রাজনীতি। বুধবার বিকেল ৪টে নাগাদ বিধানসভার রিসিভিং সেকশনে গিয়ে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর রাজ্যপালকে বিস্ফোরক চিঠি লিখলেন শুভেন্দু অধিকারী।



সূত্রের দাবি, মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে তাঁকে সে বিষয়েই হস্তক্ষেপ চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠি লিখেছেন শুভেন্দু। চিঠিতে শুভেন্দু উল্লেখ করেছেন, ‘তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার চেষ্টা হচ্ছে।’শুভেন্দু বলেন, ‘আমার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসন রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে।’


তাঁর ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফৌজদারি মামলা রুজু থেকে পুলিশ-প্রশাসনকে নিরস্ত করা সম্ভব হয় সেজন্যই সাংবিধানিক প্রদান হিসেবে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। চিঠিতে শুভেন্দু লিখেছেন, লেখেন, ‘সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে আপনার হস্তক্ষেপ চাইছি। যাতে আমার ও আমারর অনুগামীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফৌজদারি মামলা রুজু থেকে পুলিশ-প্রশাসনকে নিরস্ত করা সম্ভব হয়।


শুভেন্দুর এই পদক্ষেপ প্রত্যাশিত হলেও, বিধানসভা ভোটের আগে তা যে তৃণমূলের কাছে নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা বলেই ম্নে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও, প্রকাশ্যে একে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক দল। শুভেন্দুর ইস্তফায় প্রত্যাশিতভাবেই একদিকে উৎ‍সাহিত বিজেপি।