নারী এবং শিশুদের আত্মরক্ষা ও সুরক্ষা-র প্রশিক্ষণ শিবির

অনিক চৌধুরী ঃ 

নারী এবং শিশুদের আত্মরক্ষা ও সুরক্ষা নিয়ে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি বান্ধব নাট্য সমাজে অনুষ্ঠিত হল একদিনের এক আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণ শিবির।এদিনের এই বিশেষ আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণ শিবিরে বিশেষ অতিথি এবং প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গের প্রথম রেফারি "এ" তথা কারাতে প্রশিক্ষক সেনসি সপ্তপর্নি চক্রবর্তী।


বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে খবর কাগজ থেকে শুরু করে স্যোশাল মিডিয়া জুড়ে ধর্ষণ,নির্যাতন,শ্লীলতাহানির মত খবর ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত।পাশাপাশি শিশুদেরও ছাড়ছে না পাশবিক মানসিকতার এই মানুষগুলো।নারী এবং শিশুদের ওপর ঘটে চলা অত্যাচারের মত জ্বলন্ত সামাজিক সমস্যাগুলোর কথা মাথায় রেখে সমাজসেবী রিখিয়া সরকার এবং পম্পা সাহারা ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মহিলা এবং শিশুদের জন্য এদিনের এই আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেন।আর তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য এদিন প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অপর এক মহিলা সেনসি সপ্তপর্নি চক্রবর্তী।যিনি আজও উত্তরবঙ্গবাসীর কাছে কারাতে ইতিহাসের উজ্জ্বল নক্ষত্র।প্রাক্তণ আন্তর্জাতিক কারাতে খেলোয়াড় ছাড়াও তিনি বর্তমানে কারাতে প্রশিক্ষক এবং উত্তরবঙ্গের প্রথম মহিলা "এ" রেফারি।



এদিন আত্মরক্ষার বিভিন্ন কৌশল শেখানোর পাশাপাশি মহিলা এবং শিশুদের বিভিন্ন জ্বলন্ত সমস্যা নিয়েও তিনি আলোচনা করেন।একদিনের আত্মরক্ষা শিবিরে এদিন প্রায় ২০ জন মহিলা ও কিশোরী উপস্থিত ছিলেন।শুধু আত্মবিশ্বাসী কথাই নয়,কথার পাশাপাশি উপস্থিত সকলকে বাস্তবিক পরিস্থিতির নমুনা সাজিয়ে সেখান থেকে কিভাবে নিজেদের রক্ষা করা যেতে পারে তার প্রশিক্ষণও দেন সেনসি সপ্তপর্নি।পাশাপাশি জিজ্ঞাসু মহিলাদের সকল প্রশ্নের সমাধানও দেন তিনি।এদিনের এই আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণ শিবির শেষে উপস্থিত এক মহিলা জানান,আজ আমরা যা দেখলাম ও শিখলাম তাতে নিজেকে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী লাগছে।এখন কঠিন পরিস্থিতি এলেও নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারব।



অপরদিকে শিবিরের প্রশিক্ষক সেনসি সপ্তপর্নি চক্রবর্তী বলেন,এদিন খুব বেশি মানুষ এই শিবিরে আসেননি।কিন্তু আমার বিশ্বাস যে কয়জনই আজ উপস্থিত ছিলেন তারা বাজে এবং কঠিন পরিস্থিতিতে এখন আর ঘাবড়াবেন না।আজ আমরা এমন এক সময়ে দাঁড়িয়ে আছি যেখানে সকলকেই আত্মরক্ষা জানা উচিৎ।কিছু নোংরা মানসিকতার মানুষ আমাদের সমাজে রয়েছেন।তাদের কাছ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে এই সকল কৌশল মহিলাদের শিখে রাখা দরকার বলেও জানান তিনি।


শিবির শেষে আয়োজকরা জানান,এদিন তাদের পক্ষে সমাজের সকলের কাছে পৌঁছনো সম্ভব না হলেও ভবিষ্যতে তারা আরও বৃহদাকারে এরূপ আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।