চালু হচ্ছে রেল, চলছে জোর প্রস্তুতি, মানতে হবে একাধিক বিধি নিষেধ 



সামনেই কালীপূজা। আর তার আগে বুধবার চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন। লক ডাউনের পর এবার প্রথমবার গড়বে লোকাল ট্রেনের চাকা। সূত্রের খবর অনুযায়ী প্রতিদিন ৬৯৬টি করে ট্রেন চলার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এর ফলে স্টেশন গুলিতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি আরম্ভ হয়েছে। চলছে স্যানিটাইজ। শারীরিক দূরত্ব মেনে পরিষেবা দিতে চলছে একের পর এক পদক্ষেপ। শিয়ালদা স্টেশনে টিকিট কাউন্টারের সামনে গোল করে মার্কিং করার কাজ চলছে। শুরু হয়ে গিয়েছে মান্থলি পাসের মেয়াদ বৃদ্ধির কাজ। লকডাউন শুরু হওয়ার সময় মান্থলি বা কোয়ার্টারলি টিকিট কাটা যাত্রীদের বৈধ যাতায়াতের মেয়াদ যতদিন বাকি ছিল, তা নতুন টিকিটে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।



শারীরিক দূরত্ব বিধি যেন নষ্ট না হয় তাই শিয়ালদহ স্টেশনে বসানো হচ্ছে গার্ডরেল। প্ল্যাটফর্মে শারীরিক দূরত্ববিধি মানার জন্য মার্কিং করার কাজ চলছে। দুই বৃত্তের মধ্যে ৫ ফুট দূরত্ব রাখা হয়েছে। প্রত্যেক স্টেশনে থাকছে এন্ট্রি ও এক্সিট পয়েন্ট। স্টেশনে ঢোকার সময় প্রত্যেক যাত্রীর থার্মাল চেকিং করা হবে। ট্রেনের কামরায় বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজিতে করোনা মোকাবিলার সুরক্ষাবিধি লিখে তা সেঁটে দেওয়া হচ্ছে। যাত্রীদের মাস্ক পরে থাকা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।


ভেন্ডররা উঠতে পারলেও ট্রেনে হকারদের ওঠা ও স্টেশন চত্বরে হকারদের দোকান খোলা নিষিদ্ধ করার কথা জানা যাচ্ছে। এককথায় ভিড় সামলানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ রাজ্য ও রেলের কাছে। এনিয়ে জোর প্রস্তুতি চালু হয়েছে।