অসুস্থ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরার পোস্ট ঘিরে বিতর্ক। 



গতকাল অনুপম অসুস্থ সৌমিত্রর একটি ছবি সহ স্যোসাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন - "নক্ষত্র পতন !!! আলোকময় দীপাবলী'র রাত অন্ধকার করে চলে গেলেন আমাদের সকলের প্রিয় ফেলুদা !!!"

কিন্তু এখনো পর্যন্ত এমন কোন খবর সামনে না আসা সত্বেও কি করে একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এই ধরণের বিভ্রান্তমূলক পোস্ট করেন তা নিয়েই সমালোচনা শুরু হয়েছে। 


প্রসঙ্গত বেশ কিছুদিন আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন সৌমিত্র চট্টোপাধ‍্যায়। করোনা উপসর্গ থাকায় বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। বয়সের কথা মাথায় রেখে তাঁর অন্যান্য শারীরিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন চিকিত্সকরা। একসময় 'করোনা এনসেফ্যালোপ্যাথি'-ও হয়েছিল তাঁর। পাশাপাশি ছিল কো-মর্বিডিটিও। যদিও, বেশ লড়াই করে করোনাকে হারিয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপর একের পর এক নানান সমস‍্যা চলছিল তাঁর শরীরে। 

গত শুক্রবার থেকে ফের বেশি করে অবস্থার অবনতি হতে থাকে। মস্তিষ্কের স্নায়বিক অবনতি, হৃদযন্ত্র ও কিডনির সমস‍্যা বেড়ে গায়েছিল তাঁর। শ্বাসযন্ত্রেও অস্ত্রোপচার করা হয়। অবশেষে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি। 

দ্রুত বেড়েছে মস্তিষ্কে স্নায়ুর সমস্যা। প্রবলভাবে বেড়েছে শরীরে অক্সিজেনের চাহিদা। অবনতি কিডনির কার্যকারিতার। বেলভিউ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবীণ অভিনেতার শারীরিক অবস্থার এদিন আরও অবনতি হয়েছে। তাঁর হৃত্স্পন্দন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ছিল। অবনতি হয়েছিল স্নায়ুর সমস্যার। কিডনির অবস্থারও অবনতি হয়েছে।  পরিস্থিতি সামাল দিতে স্নায়ু বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছেন। 

তবে এমন পরিস্থিতিতে  বাংলা চলচ্চিত্র জগতের এমন বড় মাপের  একজন অভিনেতাকে নিয়ে এমন  ভুল তথ্য পরিবেশন করে সমালোচনার মুখে পড়েও সকাল ৬ টা ৩৬ মিনিট পর্যন্ত পোস্টটি ডিলিট করা হয়নি। আসুন দেখে নেওয়া যাক সেই পোস্টটি-