উদ্বোধনী আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের চূড়ান্ত খেলা ২১ জুন, ১৯৭৫ তারিখ লর্ডসে অনুষ্ঠিত হয়। চূড়ান্ত পর্যায়ে খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড। লয়েড আউট হবার সময় দলের রান হয় ৪/১৯৯। তিনি ৮৫ বলে ১০২ রানে আনেন। যেখানে ১২টি চৌকা ও ২টি ছক্কা হাঁকান। তিনি শেষ অবধি ম্যান অব দ্য ম্যাচে পুরস্কার লাভ করেন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৭ রানের ব্যবধানে প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী হয় ।




চার বছর বাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পুণরায় চূড়ান্ত খেলায় উঠে আসে কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী দল হিসেবে ছিল ইংল্যান্ড । ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮/২৮৬-তে পৌঁছিয়ে দেন। ফলে ইংল্যান্ডের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করা হয় ৬০ ওভারে ২৮৭ রান। তারা দলটিকে অগ্রসর করালেও ১৯৪ রানে অল-আউট হয়ে যায়। জোয়েল গার্নার মাত্র এগারো বলে পাঁচটি উইকেট নেন। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯২ রানে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটের চ্যাম্পিয়ন হয় ।




১৯৮৩ সালের জুন মাসে তৃতীয় বিশ্বকাপের চূড়ান্ত খেলা অনুষ্ঠিত হয়। লর্ডস আবারো চূড়ান্ত পর্যায়ে হেটেছিল শিরোপা লাভের আশায়। এবারে সম্মুখে ভারতের মুখোমুখি। সুনীল গাভাস্কার ইনিংসের শুরুতেই মাত্র দুই রানে আউট হন। অ্যান্ডি রবার্টস তিন উইকেট লাভ করেন ও ভারতের ইনিংস মাত্র ১৮৩ রানে শেষ হয়। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং ধ্বসে ১৪০ রানে অলআউট হয় ও ভারত ৪৩ রানের ব্যবধানে জয়ী হয়ে শিরোপা লাভ করে।




১৯৮৭ সালের ভারতে-পাকিস্তানে যৌথভাবে আয়োজিত হয় ৪র্থ বিশ্বকাপ। কলকাতার ইডেন গার্ডেনসের চূড়ান্ত খেলা অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড। দ্বিতীয়বারের মতো অংশগ্রহণ করে দল দু’টি শিরোপা লাভের লড়াইয়ে নামে। টসে জয়ী হয় অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড বুনের ১২৫ বলে ৭৫ রানের কার্যকরী ও মাইক ভেলেটার ক্ষিপ্রগতির ৩১ বলে ৪৫ রানের কল্যাণে অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে ২৫৩ রান সংগ্রহ করে। ইংল্যান্ডকে ৭ রানে পরাজিত করে জয়ী হয় অস্ট্রেলিয়া।




মেলবোর্ন গ্রাউন্ডে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ এর চূড়ান্ত পর্বটি অনুষ্ঠিত হয়।অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে যৌথভাবে এই বছরের খেলা সম্পন্ন হয়। প্রথমবারের মতো ফাইনালে খেলতে নেমে টসে জয়ী হয়ে পাকিস্তান ব্যাটিংয়ে নামে। তৃতীয় জুটিতে ইমরান খান ও জাভেদ ১৩৯ রান যোগ করেন। পরে ইনজামাম-উল-হক এবং ওয়াসিম আকরাম কিছু রান করলে পাকিস্তানের ৫০ ওভারে মোট ৬ /২৪৯ রান হয়।ইংল্যান্ড ২২৭ রানে অলআউট হয় ও পাকিস্তান ২২ রানে বিজয়ী হয়। ওয়াসিম আকরাম ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার পান।




শ্রীলঙ্কাসহ আবার ভারত ও পাকিস্তান যৌথভাবে ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপের সহ-আয়োজকের দায়িত্ব পায়। লাহোরের গাদ্দাফী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় টসে জয়ী হয়ে অর্জুনা রানাতুঙ্গা অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। অধিনায়ক মার্ক টেলর ও রিকি পন্টিং দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১০১ রান দলকে ৭ উইকেটে ২৪১ রানে নিয়ে যায়। অরবিন্দ ডি সিলভা’র সেঞ্চুরি, অশঙ্কা গুরুসিনহা ও রানাতুঙ্গা’র সাথে জুটি গড়ে দলকে ২২ বল বাকী থাকতেই ৭ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিজয়ী হয়। প্রথমবারের মতো কোন দল দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করে বিজয়ী হয়েছে। অরবিন্দ ডি সিলভা ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন।




১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১২ বছরব্যাপী অস্ট্রেলিয়ার আধিপত্যের সূচনা ঘটে। ফলে, অস্ট্রেলিয়া দল আট উইকেটের ব্যবধানে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জয় করে। তারকা খেলোয়াড় শেন ওয়ার্ন অসাধারণ বোলিংয়ের দরুণ ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

তথ্যতথ্যসূত্র- ইন্টারনেট