করোনা কালে উৎসবের মরশুমে চারদিন ধরে দুঃস্থদের মুখে হাসি ফোঁটালো একদল যুবক-যুবতী
"জীবে সেবা করে যেই জন,সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।"
এই বিখ্যাত অমর বাণী আমরা শুধু মানুষেকে এক খসড়া কাগজে পড়তে দেখিনি । বাস্তবে মানুষকে কাজের মধ্যে দিয়ে সেই সেবা করতেও দেখেছি। দিনহাটার দুই বলিষ্ঠ যুবক রোহিত ইসলাম ও দীপক বর্মন সহ আরো অনেক ছেলে মেয়ে মিলে ঠিক এমনটাই সেবা করে চলেছে অনর্গল।
যখন করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ ভীত ঠিক সেই মুহূর্তে তারা করে চলেছে একের পর এক সেবা মূলক কাজ। মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনে সেবা দিয়ে চলেছে সেই যুবক যুবতীর দল। এই অতি মহামারী করোনার দিনে রাস্তার দূরহ অসহায় মানুষ যখন খেতে পাচ্চিল না ঠিক সেই মুহূর্তে তাদের কিছু খাবার তুলে দেয়ার চেষ্টা করেছিল তারা, পুজোর দিনে যখন অসহায় মানুষগুলো আনন্দ ভুলে গিয়ে মলিন হয়ে পড়েছিল ঠিক সেই মুহূর্তে তারা সেই দুঃস্থ মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে তারা সেই মানুষগুলোর কথা ভেবে আয়োজন করেছে এক "বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের" এই অনুষ্ঠান শুরু হয় ১৭ অক্টোবর তারা চার দিন যাবৎ যথাক্রমে ২১ ২২ ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত এই কর্মসূচির চালিয়ে মোট ৪৮৪ টি কাপড় তুলে দিতে সক্ষম হয়েছিল ।
এই অনুষ্ঠানের শেষ দিন ২৩ অক্টোবর অর্থাৎ আজকের এই কর্মসূচী পালিত হয় সীমান্তবর্তী শহর দিনহাটার সংহতি ময়দানে। উক্ত দিনে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক জয় গোপাল ভৌমিক(দিনহাটা নাগরিক মঞ্চ) বিশিষ্ট সমাজ সেবিকা রুকসানা বানু ও বিশিষ্ট সমাজ সেবিকা শামীমা শাম্মী এ ছাড়াও আরো অনেকে। অনুষ্ঠানটি সম্পূর্ণ করতে সহযোগিতায় ছিলেন কুন্তল রায় অধিকারী , রাজ ইসলাম এ ছাড়াও সোনালী, পূজা, প্রবীর, নীতা, নেহা, ফরহাদ, ছাব্বির ,মমিনুল, বর্ষা, বিহির, অঞ্জন, লাবু, মুন সহ আরো অনেকে।
এদের মধ্যে রোহিত ইসলাম বলেন আমাদের এই কাজ সম্পুর্ন করতে যারা আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অর্থাৎ যাদের ছাড়া আমরা কাজ সম্পুর্ন করতে সক্ষম হতাম না তাদের জানাই অন্তরের অন্তঃ স্থল থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভালোবাসা ও অভিনন্দন। আরো বলেন মানুষের সাথে থাকতে অর্থাৎ সামাজিক কল্যান মূলক কাজ করতে কোনো এনজিও বা কোনো সংস্থার প্রয়োজন হয় না। তিনি আরো জানান আমরা এর পরে আরো নানা কর্মসূচি করতে চাই এবং এর জন্য সবাইকে পাশে থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊