অনশন কর্মসূচীতে যদি দাবী পূরণ না হয়- তবে রাজ্যজুড়ে কলেজ ক্যাজুয়াল কর্মচারীরা স্বেচ্ছামৃত্যুর পথে হাঁটবে

অনশন কর্মসূচীতে যদি দাবী পূরণ না হয়- তবে রাজ্যজুড়ে কলেজ ক্যাজুয়াল কর্মচারীরা স্বেচ্ছামৃত্যুর  পথে হাঁটবে



কলেজ পরিচালন সমিতির অনুমোদনক্রমে, কলেজে কলেজে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক কাজে কর্মরত ক্যাজুয়াল কর্মচারীদের রাজ্য ব্যাপী ঐক্যবদ্ধ সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ক্যাজুয়াল এমপ্লয়ীজ সমিতির পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচী চলছে। অনশন কর্মসূচীতে যদি দাবী পূরণ না হয়- তবে রাজ্যজুড়ে ক্যাজুয়াল কর্মচারীরা স্বেচ্ছামৃত্যুর  পথে হাঁটবে। এই মুহূর্তে দীর্ঘ ১৩ দিন ধরে রাজ্যের ১৪ টি জেলা জুড়ে চলছে এই অনশন কর্মসূচী। 


পূর্ব মেদিনীপুর ময়নার বিধায়ক সংগ্রাম দলুই এবং পূর্ব বর্ধমানে এস ডি ও  ছাড়া এখনো পর্যন্ত তাঁদের অনশন মঞ্চে প্রশাসনের তরফে বা কোন রাজনৈতিক নেতৃত্ব আসেননি। 

পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ক্যাজুয়াল এমপ্লয়ীজ সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- "স্থায়ী কর্মীর অভাবে কলেজের যাবতীয় পরিষেবা যখন বন্ধের মুখে ঠিক তখনি কলেজের স্বাভাবিক পরিষেবা অব্যাহত রাখতে, ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা সহায়ক অফিসিয়াল পরিষেবাকে সচল রাখতে, কলেজ পরিচালন সমিতি এই সকল কর্মচারীদের নিয়োগ করেন। পূর্বতন বাম সরকারের আমল থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলেও, বাংলায় রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সংখ্যাটা বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে রাজ্য জুড়ে এই প্রকার কলেজ ক্যাজুয়াল কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৮০০০ জন।" 

সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়- "ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ানো বাদে শিক্ষা সহায়ক যাবতীয় কাজ করলেও, ক্যাজুয়াল কর্মচারী ব্যাতীত কলেজ অচল একথা কলেজ কর্তৃপক্ষ স্বীকার করলেও, এই সকল কর্মচারীদের না আছে সরকারী স্বীকৃতি, না আছে ৬০বছরের কর্মনিশ্চয়তার নিরাপত্তা। সামান্য ২০০০ থেকে সর্বাধিক ৬০০০টাকা পারিশ্রমিকে অত্যন্ত অসহায় অবস্থায় দিন যাপন করতে হয়।

কলেজ পরিচালন সমিতি দ্বারা একি ভাবে নিযুক্ত Part time Teacher ও ২০১৩ সালের পর নিয়োগ হওয়া অতিথী অধ্যাপকদের সরকার স্বীকৃতি নিরাপত্তা বেতন দিলেও, শিক্ষাকর্মীরা এযাব্ৎ বঞ্চিত, ব্রাত্য। উচ্চশিক্ষা দপ্তর সহ উচ্চ শিক্ষামন্ত্রীকে বারবার আবেদন নিবেদন করলেও প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই মেলেনি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একি ছাদের তলায় কর্মরত হলেও শিক্ষাকর্মীদের বছরের পর বছর বঞ্চিত করে, অসহায় দিশেহারা পরিস্থিতিতে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে সংগঠন আজ অনশন কর্মসূচী গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে- "রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ক্যাজুয়াল/অস্থায়ী কর্মীদের ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার 3998 F(P2) নির্দেশনামা জারী করে স্বীকৃতি নিরাপত্তা প্রদান করলেও, উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অধীন কলেজের ক্যাজুয়াল কর্মীদের ক্ষেত্রে তা কার্যকরী হয়নি।" 

তাই পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ক্যাজুয়াল এমপ্লয়ীজ সমিতি- ১) কলেজে কর্মরত ক্যাজুয়াল কর্মচারীদের সরকারী স্বীকৃতি প্রদান  ২) ৬০ বছরের কর্মনিশ্চয়তার নিরাপত্তা  ৩) সরকারী আদেশনামা 3998 F(P2) লাগুর দাবীতে-  কলেজ ক্যাজুয়াল কর্মচারীদের জীবন যন্ত্রনা লাঘবের জন্য মানবিক মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবীতে অনশন কর্মসূচী গ্রহন করেছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে-" যতক্ষন পর্যন্ত না দাবীপূরন হয় আমাদের এই অনশন চলবে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাবো স্বেচ্ছামৃত্যুর। কারন কলেজ ক্যাজুয়াল কর্মচারীদের জীবন যন্ত্রনার থেকে মৃত্যু অনেক ভালো।" 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ