বিসিরোডে সিপিএম এর শহীদ দিবস 

সঞ্জিত কুড়ি, পূর্ব বর্ধমান

১৯৫৯ সালের ৩১শে আগস্টে খাদ্য আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আজ শহীদ দিবস পালন করল সিপিআইএম । 


জানাযায়- ১৯৫৯সালে সকলের খাদ্যের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে ৮০ জন মানুষকে লাঠিপেটা করে খুন করা হয়। বহু মানুষকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে। বহু মানুষ নিখোঁজ হয়ে গেছেন। এবং অনেকে জেলে অন্ধকার কুঠুরিতে গোটা জীবন কাটিয়েছেন। এরপরেও অনেক আন্দোলন হয়েছে ১৯৬০থেকে ৭০ সাল এর জমি আন্দোলন। ৭২থেকে ৭৭ সালে ফ্যাসিবাদী আন্দোলন করতে গিয়ে বহু মানুষ মারা গেছেন, বহু মানুষ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন।

এদিন বক্তারা জানান- ১৯৫৯ সালে যেমন খাদ্যের আন্দোলনে বহু মানুষ মারা গেছেন ঠিক সেরকম আর কিছু দিনের মধ্যেই এই করোনা মহামারীর পরিস্থিতির জন্য পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা ভারতে মানুষ খাদ্যের সংকট দেখা দেবে ।



তারা আরও বলেন- ইতিমধ্যে শহরে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে।আগে যেটা ছিল বাড়িতে অসহায় দুর্বল মানুষ বাড়িতে বাড়িতে ভিক্ষে করত। এই সংক্রমণে শহরের পাড়ায় পাড়ায় ভিখিরির সংখ্যা বেড়েছে। গ্রামগুলোতে আরো বেশি দেখা দিচ্ছে ।এই ছয় মাসে কোন কাজ নেই ভারতবর্ষে মানুষ কর্মচ্যুত হয়েছে ।আমাদের দাবি লকডাউনের কারণে যে সমস্ত মানুষ গৃহবন্দী হয়ে কর্মচ্যুত হয়েছেন সেই সমস্ত মানুষদের সরাসরি মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা করে দিতে হবে।পাশাপাশি মাথাপিছু ১০কেজি করে খাদ্যশস্য বিনামূল্যে দিতে হবে ।আগামী দিনে একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি আমাদের সামনে আসতে চলেছে ।লকডাউন হবে তা ঠিক আছে। কিন্তু লকডাউন চালু করা জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারকে যে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার ছিল সেই সেই ব্যবস্থা তারা নেয়নি। স্বাস্থ্যব্যবস্থা উন্নতি করা, হাসপাতালগুলোতে বেডের সংখ্যা বাড়ানো, অক্সিজেন সিলিন্ডার বাড়ানো নানা ধরনের স্বাস্থ্যব্যবস্থা কে আরো শক্তিশালী করা দরকার ছিল বলে জানান বক্তারা। রাজ্য কেন্দ্র সরকার তা করেননি বলে তাঁরা দাবি করেন।