পরীক্ষা না নেওয়ার পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন গ্রেটা থুনবার্গ ও সোনু সুদও



সুরশ্রী রায় চৌধুরীঃ 

করোনা আবহেই সরকার জয়েন্ট এন্ট্রান্স এবং নিট পরীক্ষার দিন ঘোষণা করে দিয়েছে। এই নিয়ে  বিভক্ত গোটা দেশ। কেউ পরীক্ষা হওয়ার পক্ষে তো কেউ করোনা আবহে পরীক্ষা না হওয়ার পক্ষে। একদিকে যেমন যুক্তি প্রতি বছরের মতো এ বছরও লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রী দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঘরে বসে অধীর আগ্রহে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করছে।  পরীক্ষার দিন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরে  পরীক্ষা নিতে দেরি হওয়া মানে ছাত্রছাত্রীদের মূল্যবান একটি বছর নষ্ট হওয়া। 


অন্যদিকে যুক্তি ট্রেন না চলায় পরীক্ষার্থীরা দূরের পরীক্ষা কেন্দ্রে কীভাবে পৌঁছবে? কিংবা পরীক্ষার্থীরা সংক্রমিত হলে তার দায় কার? এই ধরনের একাধিক প্রশ্ন তুলছেন পরীক্ষার্থীদের একাংশ। করোনা আবহে পরীক্ষার বিরোধিতা করেছিলেন রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দোপাধ্যায় ও দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী-সহ আরও অনেকে। 

পরীক্ষার প্রতিবাদে গতকাল একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক সেরেছেন সোনিয়া-মমতা। সেখান থেকে পরীক্ষার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথাও উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা না নেওয়ার পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন গ্রেটা থুনবার্গ ও সোনু সুদও।

এদিকে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, ইগনু, লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়, জেএনইউ, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন, হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিদ সহ-সহ মোট ১৫০ জন প্রধানমন্ত্রী কে চিঠি দিয়েছেন।   চিঠিতে তারা লিখেছেন,"আমরা বিশ্বাস করি সরকার সব সতর্কতা মেনেই সফল ভাবেই JEE ও NEET পরীক্ষা নিতে পারবে, যাতে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতে কোনও ক্ষতি না হয়।"