A pair of lungs donated & airlifted from Kolkata to Hyderabad



সুরশ্রী রায় চৌধুরী

মরণোত্তর অঙ্গ প্রতিস্থাপনে বিগত কয়েক বছরে বেশ কিছুটা এগিয়েছে কলকাতা৷ শোভনা সরকার, সমর চক্রবর্তী, স্বর্ণেন্দু রায়, সুরভি বরাট প্রমুখের মরণোত্তর অঙ্গদান কলকাতার নাগরিক সমাজকে এই মহান দানের গুরুত্বকে বুঝিয়েছে৷

গত তিন বছরে কলকাতায় মরণোত্তর অঙ্গ প্রতিস্থাপনের হার বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ৷ 


এবার সেই মহান কাজের নজির গড়লেন হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা বছর চুয়াল্লিশের পীযূষকান্তি ঘোষাল।

ব্রেন টিউমার নিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সেসে বৃহস্পতিবার ভর্তি হন হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা বছর চুয়াল্লিশের পীযূষকান্তি ঘোষাল। রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার রাতেই ওই যুবকের ব্রেন ডেথ হয়। চিকিৎসকরা ওই যুবকের ব্রেন ডেথ ঘোষণা করার পরই পীযূষকান্তি ঘোষালের অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেয় তাঁর পরিবার। রবিবার থেকে শুরু হয় সেই প্রক্রিয়া।  বিকালেই রোটর থেকে একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল এসে পৌঁছয় মল্লিক বাজারের ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেসে। এরপর গভীর রাতে অস্ত্রোপচার শেষ হলে অঙ্গদানের প্রক্রিয়াকরণ শুরু করা হয়। রবিবার মধ্য রাতে গ্রিন করিডর করে সেই অঙ্গ পৌঁছায় তিন-তিনটি  হাসপাতালে। গ্রিন করিডোর দিয়ে পুলিসি সহায়তায় অঙ্গ পৌঁছায় কলকাতা বিমানবন্দরে। মল্লিকবাজার কলকাতা বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার পথ গ্রিন করিডোরে মাত্র ১৩ মিনিটে অতিক্রম করে প্রতিনিধি দলটি। তারপর কেআইএমএস হায়দরাবাদে উড়ে যায় ফুসফুস। অন্যদিকে, এসএসকেএম-এ পাঠানো হয় কিডনি ও ত্বক। আর শঙ্কর নেত্রালয়ে পাঠানো হয় কর্নিয়া।


এই প্রথম  রাজ্যের সীমা ছাড়িয়ে ব্রেন ডেথ রোগীর অঙ্গ পৌঁছে গেল হায়দরাবাদে। শুধু ভিন রাজ্যের হাসপাতালেই নয়। অন্যান্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ  অঙ্গ পৌঁছল এসএসকেএম ও শহরের বিশিষ্ট চক্ষু হাসপাতালে।