শচীন পাল, ঝাড়গ্রামঃ     

গাছ প্রেমী শিক্ষকের উদ্যোগে পলাশ চারা রোপণ - বিভিন্ন সময়ে গাছ লাগান গাছ কে বাঁচান । বিভিন্ন অনুষ্ঠানে চারা দেন, বিদ্যালয় গুলোকে চারা দিয়ে উত্সাহিত করেন । এরম এক গাছ পাগল মাস্টার মশাই এর এবারে পাগলামী হলো সরকারী ভাবে লাগানো গাছগুলো র মধ্যে যেখানে যেখানে গাছ নেই সেখানে পলাশ , মেহগিনি চারা রোপণ করে সবুজ রক্ষা করা । 

কিছু প্রাক্তন ছাত্র , বন্ধু কে নিয়ে অরণ্য সপ্তাহ থেকে মেদিনীপুর শহরে ও পার্শবর্তী এলাকায় যেখানে যেখানে খাঁচা খালি সেখানে একটি নতুন চারা দিয়ে পূর্ণ করা । শিক্ষক মনিকাঞ্চন রায়ের কথায় গাছ কে মুক্ত স্থানে লাগালে সেখানে গাছ বাঁচানো কষ্টের । তাকে ঘেরা দেওয়া প্রয়োজন । একটা গাছ অনেক প্রাণ । হাজার হাজার গাছ প্র্তি বছর লাগানো হয় কিন্তু সেগুলো বাঁচল না মরলো সেগুলো দেখতে ভুলে যাই । সরকারী উদ্যোগে খাঁচা দিয়ে ঘেরা দেওয়া হয় । কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গাছ মরে যায় যত্নের অভাবে । তাই হাজার হাজার গাছ লাগানোর চেয়ে কম গাছ লাগিয়ে রক্ষা করার চেষ্টা করলে  পরিবেশে  সবুজায়ন হবে । তাই বিভিন্ন খাঁচা গুলোতে পলাশ চারা লাগাচ্ছি । 

একদিকে মেদিনীপুরে পলাশ গাছের প্রসার হবে অন্যদিকে গাছগুলো ঘেরার মধ্যে  থাকলে খুব সহজে বাঁচবে । সপ্তাহের বিভিন্ন দিনে এই কর্মসূচী গোটা বর্ষা কাল ধরে জারি থাকবে । এই কাজে আমাকে সাহায্য করছেন জয়ন্ত মণ্ডল বাবু , আমার ছাত্র রাজেশ বেরা , পীযূষ বেরা , সুপ্রকাশ গিরি , ফাকুরুদ্দিন  মল্লিক এর মতো উদ্যমী ছেলেরা । 

আগামী দিনে এরম কাজের সাথে সাথে বেশ কিছু স্থানে পলাশ চারা রোপণ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে বলেন শিক্ষক সমাজসেবী পরিবেশ প্রেমী মনিকাঞ্চন রায় । উনি নিজের উদ্যোগে মেদিনীপুর কে পলাশে রাঙিয়ে দিতে একাধিক নার্সারী তে পলাশ চারা তৈরী করিয়েছেন। ইতি মধ্যে সরকারী দপ্তরে পলাশ চারা সরবরাহ করেছেন । একটাই উদ্দেশ্য মেদিনীপুরে পলাশে র সমারোহ বাড়ানো সাথে সাথে সবুজায়ন  করা ।