নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি- 
করোনা অতিমারির এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষ খাবার জোগাড় করতে হিমসিম খাচ্ছে। এমন সময় বিশ্ববিদ্যাল়য় কর্তৃপক্ষ গত ১০ জুলাই পরীক্ষার এনরোলমেন্ট ফী চেয়ে একটি নোটিশ দেয়। এমত অবস্থায় গত ১৪ই জুলাই ছাত্র সংগঠন AIDSO এই বিষয়ে ডেপুটেশন জমা দেয়। ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায় যে, সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের ফী জমা করতে অসুবিধা হচ্ছে তারা কর্তৃপক্ষকে ইমেইল মারফত জানাতে পারে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী এই অল্প সময়ের মধ্যে প্রচুর সংখ্যক ছাত্রছাত্রী ই-মেইলের মধ্য দিয়ে তাদের সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষের কাছে জানায় বলে জানা গেছে। 



১৬ই জুলাই আবার ছাত্র-ছাত্রীর সমস্যার কথা জানাতে কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়। সংগঠনের প্রতিনিধিরা তুলে ধরে যে, উত্তরবঙ্গের মত অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা একটি অঞ্চলের ছাত্র ছাত্রীদের ক্ষেত্রে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ফী বাবদ দেওয়া সম্ভব নয়। দীর্ঘক্ষণ কথা বলার পর অথরিটি বাধ্য হয়ে সংগঠনের নেতৃত্বকে জানায় যে তারা আজকে এ ব্যাপারে কথা বলবে এবং সিদ্ধান্ত নিবে। তারা এও জানায় যে যতক্ষণ না পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন সদর্থক সিদ্ধান্ত না নেয়া হচ্ছে ততক্ষণ ফী নেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হোক।


AIDSO উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সম্পাদক রাজেশ রোশন হাশমি জানায়," আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে এসেছি যে আজকের মধ্যেই ইউনিভার্সিটি ছাত্রদের উদ্দেশ্যে এ ব্যাপারে যদি কোনো নোটিশ প্রকাশিত না করে তাহলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যেতে বাধ্য হব।"