১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে ৬০ হাজার চারাগাছ লাগানোর কর্মসূচি
রাজেন্দ্র নাথ দত্ত, মুর্শিদাবাদ, ১৭ই জুলাই ২০২০ঃ এবার থেকে কেউ গাছ লাগালেই ‘সবুজ যোদ্ধা’ হওয়ার সুযোগ পাবেন। গাছ লাগানোর ছবি বন দফতরের ফেসবুক পেজে পোস্ট করলেই সেই ব্যক্তিকে অনলাইনে শংসাপত্র দেওয়া হবে। আমপানের পরে পরিবেশের সবুজের ভারসাম্য বজায় রাখতে ‘পুনরায় সবুজ বাংলা’ (রি-গ্রিনিং বাংলা) প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সুন্দরবনে পাঁচ কোটি ম্যানগ্রোভ এবং গোটা রাজ্যে র পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর - ১ নং ব্লকে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে ৬০ হাজার গাছের চারা গাছ লাগানোর কাজের শুভ উদ্বোধন হলো ভরতপুর - ১ নং ব্লকের কৃষি খামারে।
গাছ মানেই শখ, আর বন মানেই বেড়ানোর জায়গা নয়। এ সব না থাকলে পৃথিবীই থাকত না। অনেকে সবুজের গুরুত্ব বুঝছেন না। আমপানে এ বার জেলায় নষ্ট হয়েছে বেশ কয়েক হাজার গাছ। পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে জেলা জেরবার। উদ্দেশ্য বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা। অন্যান্য বছর এই উপলক্ষে চারা জোগানের জন্য সরকারি ক্ষেত্র। তবে এ বার পরিস্থিতি ভিন্ন আমপানের ক্ষতি পূরণে জেলায় আগের চেয়ে গাছের চারা লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে। সে ক্ষেত্রে আমপানে গাছ লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। রাজ্য সরকার বেশি মাত্রায় বনসৃজনে উদ্যোগী হবে। কিন্তু তাঁদের আশায় জল ঢেলেছে করোনা সংক্রমণ ক্রমশ বাড়তে থাকা এবং তার কারণে লকডাউন।
১৪ থেকে ২০ জুলাই অরণ্যসপ্তাহ হলেও জনকল্যাণ মূলক বেশিরভাগ অনুষ্ঠান বাতিল করতে হয়েছে। এ ছাড়াও বাতিলের মুখে সমস্ত রকম সামাজিক অনুষ্ঠান। তবে যে সব গাছ লাগানো হচ্ছে। অন্নপ্রাশন, বিয়ে, জন্মদিনেও গাছের চারা দেওয়ার প্রচলন শুরু হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে বনসৃজন কর্মসূচি পালন করা হত। শিল্প সংস্থাগুলিও সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রকল্পে গাছের চারা বিতরণ করত। কিন্তু সবকিছুতেই জল ঢেলেছে করোনা।
সপ্তাহ ব্যাপী বনোমহৎসব কর্মসূচি পালন করা হয়। গতকালকের এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভরতপুর - ১নং ব্লকের ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অঞ্জন চৌধুরী, ভরতপুর - ১নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আবুল হাসনাত, ভরতপুর - ১নং পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ বাগদী, ভরতপুর - ১নং পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ নূর আলম ও ব্লকের অন্যান্য নেতৃত্ব ও জন প্রতিনিধি।
0 মন্তব্যসমূহ
thanks