সুজাতা ঘোষ ,বাগডোগরা :
ব্যক্তিগত সামাজিক ও মানবিক দায়বদ্ধতা থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যবর্ধন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং সবুজ পরিবেশ গড়তে নিজের কর্মস্থলকেই বেছে নিয়েছেন কামরাঙ্গাগুড়ি জুনিয়র হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিঠুন ঘোষ । তিনি গত সাড়ে ছয় বছর ধরে শিক্ষার্থীদের উপযোগী বিদ্যালয় গঠন করতেই ভালোবেসে করে চলেছেন এই কাজ । এর পাশাপাশি বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্য নিয়মিত বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে চলেছেন।
আজ কামরাঙ্গাগুড়ি জুনিয়র হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিঠুন ঘোষ বলেন- 'আমি ২০১৩ সালের ৬ই ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করি। তখন পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ছিল ১০২ যা বর্তমানে ১৭৫।
বিদ্যালয়ে যোগদানের পর প্রথম থেকেই লক্ষ্য ছিল বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নতি সাধন করা। কারন বিদ্যালয়টি ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হলে ও ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কোন স্থায়ী শিক্ষক / শিক্ষকা ছিল না। বর্তমানেও সমস্যা রয়েছে এই ব্যপারে। কারন বর্তমানে বিদ্যালয় দুজন স্থায়ী শিক্ষক, দুজন অতিথি শিক্ষক ও একজন পিওন নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। স্বল্প পরিকাঠামোর মধ্যে প্রথম থেকেই কতটা ছাত্রছাত্রীদের উপযোগী করে গড়ে তোলা যায় সে চিন্তা করতে থাকি এবং পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্হ্যবিধি ও বিদ্যালয়ের পরিবেশ সবুজায়নে মন দিই।
প্রতিবার বর্ষার সময় প্রচুর গাছ লাগাই ও শিশুসংসদের সাহায্যে সেগুলির যত্ন করা হয়। ফলস্বরূপ ২০১৭ সালে জলপাইগুড়ি সর্বশিক্ষা মিশনের উদ্যোগে আমাদের কামরাঙ্গাগুড়ি জুনিয়ার হাই স্কুল ' নির্মল বিদ্যালয় পুরষ্কার' লাভ করে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রী হীন বিদ্যালয়ে মাঝে মাঝে আসি গাছপালাগুলের পরিচর্যা র জন্য। এই বছর ও বিদ্যালয়ের জুন মাসের মধ্যে ৮ টি ফাইকাস গাছ ও ১৫ টি দেবদারু গাছ লাগিয়েছি'।
তাঁর এই সবুজায়নের প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন প্রকৃতিপ্রেমী ও সহকর্মীরা।
1 মন্তব্যসমূহ
ধন্যবাদ সংবাদ একলব্য।
উত্তরমুছুনThank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊