ভারত-নেপাল সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে গত কয়েক মাস থেকেই। ভারতের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও কয়দিন আগে বিতর্কিত ভূখণ্ড কালাপানি আর লিপুলেখকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করেছে নেপাল সরকার। সীমান্ত নিয়ে বিবাদের মাঝেই নেপাল আর্মির গুলিতে এক ভারতীয়ের মৃত্যু ও তিনজনের আহত হয়েছে। এ ঘটনায় প্রবল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। গুলিতে আহত আরো এক ভারতীয় যুবককে বন্দি করেছে নেপালি সেনারা। এই ঘটনার প্রতিবাদে পতঞ্জলী বয়কটের ডাক দিয়েছে নেটিজেনরা।


পতঞ্জলীর সাথে এই ঘটনার সম্পর্ক কী? পতঞ্জলীর সিইও বালাকৃষ্ণ নেপালের বাসিন্দা । আর তাই ভারতীয় কৃষক মৃত্যুর প্রতিবাদে পতঞ্জলী বয়কটের জন্য ট্যুইটারে  হ্যাশট্যাগের ব্যবহার শুরু হয়েছে।

উইকিপিডিয়া থেকে জানা যায়- বালাকৃষ্ণ ৪ আগস্ট ১৯৭২ সালে উত্তরাখন্ডের হরিদ্বারে জন্মগ্রহন করেন। তার মা সুমিত্রা দেবী এবং বাবা জয় বল্লভ সুবেদি নেপালের বাসিন্দা ছিলেন।

এখনও পর্যন্ত 17.2k হ্যাশট্যাগ #BoycottPatanjali ব্যবহার হয়েছে ট্যুইটারে ।



এদিকে করোনভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধ প্রস্তুত করা হয়েছে, শনিবার পতঞ্জলি যোগপীঠের সিইও আচার্য বালাকৃষ্ণ এই দাবি করেছেন। তিনি জানান, প্রথম পর্যায়ে ওষুধের ক্লিনিকাল ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। এর 100% ফলাফল এসেছে। শত শত রোগী এই ওষুধ সেবনে সুস্থ হয়েছেন। আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে রোগীদের নিরাময়ের তথ্যসহ সমস্ত প্রমাণ বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হবে।"


বালাকৃষ্ণ বলেছিলেন, "এই ওষুধগুলি দেওয়া করোনার পজিটিভ রোগীদের মধ্যে ৭০% থেকে ৮০% রোগী মাত্র ৫ থেকে ৬ দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়েছেন। ওষুধ গ্রহণের 14 দিনের মধ্যে সমস্ত রোগী সেরে উঠেছে। এই জাতীয় সমস্ত রোগীদের পরে করোনা নেগেটিভ বলে প্রমাণিত হয়েছিল। শুধু তাই নয়, এমনকি গুরুতর রোগীদেরও এই ওষুধ দেওয়া হয়েছিল এবং তারাও সুস্থ হয়ে উঠেছে। কফ, জ্বর, শ্বাসকষ্টের মতো গুরুতর সমস্যাগুলিও কাটিয়ে উঠেছে।"

বালাকৃষ্ণের মতে, "আয়ুর্বেদ দিয়ে করোনার সমাধান 100% সম্ভব।"