জল সঙ্কট আগামীতে সমগ্র বিশ্বের কাছে আর একটি বড় সমস্যা যে হতে চলেছে সে বিষয়ে ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি হয়েছে। কীভাবে জল সঞ্চয় করা যায় তা নিয়ে গবেষণা চলছে নিরন্তর। কোথাও সরকারি উদ্যোগে চলছে জল ধরো জল ভরো প্রকল্প তো কোথাও আবার ব্যক্তিগত ভাবেই চলছে জল সংরক্ষণের প্রচেষ্টা। 

গতকাল মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এমনি একজন ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেছেন যার বয়স ৮০ থেকে ৮৫ বছর। তিনি কৃষি কাজ  ও পশু পালনের সাথে সাথে ১৬ টি পুকুর খনন করে ফেলেছেন ইতিমধ্যে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন- "কামেগৌড়াজী, ৮০-৮৫ বছরের এক বর্ষীয়ান ব্যক্তি থাকেন কর্ণাটকের মন্ডাবালীতে। পেশায় তিনি সামান্য এক কৃষক, কিন্তু ব্যক্তিত্বে তিনি অসামান্য। তিনি এমন একটি কাজ করেছেন যাতে যে কেউ অবাক হবেন। ৮০-৮৫ বছর বয়সে কামেগৌড়াজি পশুচারণের সঙ্গে সঙ্গে তার অঞ্চলে নতুন জলাশয় খননের কাজও করে চলেছেন। তিনি তাঁর এলাকায় জলের সমস্যা দূর করতে চান, সে কারণেই অর্থাৎ জল সংরক্ষণের জন্য তিনি ছোট ছোট জলাশয় তৈরীর কাজে মনোনিবেশ করছেন। জানলে আপনি অবাক হবেন যে ৮০-৮৫ বছর বয়সী কামেগৌড়াজি, কী ভীষণ কঠিন পরিশ্রম করে ইতিমধ্যে মোট ১৬টি জলাশয় খনন করে ফেলেছেন। হতে পারে তিনি যে জলাশয়গুলি তৈরি করেছেন সেগুলি খুব বড় নয়, কিন্তু তাঁর এই প্রচেষ্টা সত্যিই মহৎ। সেই জলাশয়গুলিই আজ ওই অঞ্চলে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে।" 

মোদী এদিন আরও বলেন- "দেশের একটা বড় অংশে এখন বর্ষা পৌঁছে গেছে। এবছর বর্ষা নিয়ে আবহাওয়া বিজ্ঞানীরাও খুবই উৎসাহিত, তাঁরা অনেক প্রত্যাশা করে আছেন। বৃষ্টি ভালো হলে আমাদের কৃষকদের ফসল ভালো হবে। পরিবেশও সবুজ হবে। বর্ষা ঋতুতে প্রকৃতিও নিজেকে পুনরুজ্জীবিত করে নেয়। মানুষ প্রাকৃতিক সম্পদের যতটা শোষণ করে, প্রকৃতি একদিক থেকে বর্ষার সময় তা পূরণ করে নেয়। রিফিলিং করে নেয়, কিন্তু এই রিফিলিং তখনই সম্ভব যখন তাতে আমরাও আমাদের ধরিত্রী-মা'র সহায়তা করি। নিজেদের দায়িত্ব পালন করি। আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস প্রকৃতিকে, পরিবেশকে অনেকটা সাহায্য করতে পারে।"