দেশজুড়ে করোনার করাল ছায়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। যদিও অর্থনীতির কথা মাথায় রেখে লকডাউন ধীরে ধীরে শিথিল করা হচ্ছে। একে একে খুলছে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস। সরকার ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে বারবার জনসাধারণকে সতর্ক করে বলা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে। এরই মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের জন্য নয়া ফরমান জারি করল নবান্ন। 

মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের তরফে অতিরিক্ত মুখ্য সচিব যে নির্দেশিকা দিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে :

  • ১. যে সমস্ত কর্মীদের জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা নেই, তাঁরাই একমাত্র অফিস করতে পারবেন। সর্দি-কাশির কোনোরকম উপসর্গ থাকলে অফিসে আসার দরকার নেই। 
  • ২. কন্টেইনমেন্ট জোনে যেসমস্ত কর্মচারীদের বাড়ি তারা অফিসে আসবেন না। নিজস্ব এলাকা বিপদমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা বাড়ি থেকেই অফিসের কাজকর্ম করবেন।
  • ৩. একসঙ্গে এক জায়গায় ১০ জনের বেশি বসতে পারবেন না। একজনের থেকে অপরজনের দূরত্ব কম করে ২ মিটার রাখতেই হবে।
  • ৪. অফিসার এবং কর্মীদের উপস্থিতি সংখ্যা কম করা হবে। প্রয়োজনে এর জন্য প্রতি সপ্তাহে রোস্টার বানানো হবে। অফিস রোস্টারের কারণে যারা অফিসে আসবেন না তারা বাড়ি থেকে কাজ করবেন। 
  • ৫. ডেপুটি সেক্রেটারি অথবা সমতুল পদের অফিসারর যারা আলাদা কেবিনে অফিস করেন, তারা রোজ অফিসে আসবেন। 
  • ৬. অফিসের থাকার সময় মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক। প্রয়োজন মতো সাবান দিয়ে হাত ধোওয়া অথবা স্যানিটাইজ করতে হবে। মাস্ক না পড়লে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
  • ৭. ভিজিটরদেরও বসতে দেওয়া হবে কম করে ২ মিটার দূরত্ব রেখে। 
  • ৮. প্রত্যেক কর্মী এবং অফিসারদের ব্যবহার করা চাবি, মাউস, কিবোর্ড, মোবাইল ফোন, রিমোট সহ অন্যান্য জিনিস নিজেদেরকেই স্যানিটাইজ করতে হবে। 
  • ৯. অফিসের সর্বদা ব্যবহৃত স্থান যেমন ইলেকট্রিক সুইচ, দরজার হাতল, বাথরুমের সব ধরনের জিনিসপত্র, লিফটের সুইচ, জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এছাড়া ১৪ দিনে অন্তত একবার সমস্ত অফিস জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
  • ১১. সামনাসামনি বসে বৈঠক করা যাবে না, প্রয়োজনে ইন্টারকম, ফোন, ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠকের আয়োজন করতে হবে। 
  • ১২. একসঙ্গে তিন জনের বেশি লিফটে ওঠা যাবে না।