আম্ফানের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত বাংলার দক্ষিণবঙ্গ। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ভেঙ্গে পড়েছে বহু বাড়ি, গাছ। এছাড়াও, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বৈদ্যুতিক পরিষেবা, ইন্টারনেট পরিষেবা। প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই। আম্ফান পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে রাজ্যে এসেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে আকাশ পথে বিধ্বস্ত এলাকা পর্যবেক্ষণ করে ১০০০ কোটি সহায়তা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর, বৃহস্পতিবার রাজ্যে আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। আম্ফানে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করে আজ নবান্নে বৈঠকে বসেন তাঁরা। শুক্রবার দফায় দফায় দুই ২৪ পরগনায় আমফান বিধ্বস্ত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় প্রতনিধিদলের ৭ জন। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, বহু জায়গাতেই গিয়েছেন তাঁরা। শনিবার সকালেও প্রায় সারপ্রাইজ ভিজিটের মতো তাঁরা চলে গিয়ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর ১ নং ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাটানদিঘি গ্রামে। বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখে কেন্দ্রীয় দলের ৭ সদস্য সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাও বলেন। তাঁদের পেয়ে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন।
কেন্দ্রীয় দল বিপর্যস্ত এলাকা ঘুরে বুঝতে পেরেছেন কতটা ধকল সহ্য করেছে বাংলা। এই সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট আজ তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। ১লক্ষ ২হাজার কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে হিসেব দিয়েছে নবান্ন। যার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সংখ্যাই ২৮ লক্ষ। প্রতিনিধি দলের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তরও যথাযথভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আজই কেন্দ্রীয় দলটি দিল্লি ফিরে যাচ্ছে। রবিবারই কেন্দ্রের হাতে রাজ্যের আমফান সংক্রান্ত রিপোর্ট তুলে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিরোধী দলের নেতারাও এদিন দেখা করেন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে । আমফানের ক্ষতি মোকাবিলায় কেন্দ্র যাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়, সেই আরজি জানান বিরোধীরা।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊